সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবারও বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদ্রাসায় নির্যাতনের অভিযোগ। এবার পড়া না পারায় পিটিয়ে এক পড়ুয়ার হাত ভাঙার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার দারুল আরকাম মডেল মাদ্রাসায়।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দিনই মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, সম্পর্ক ভেঙে দিল পাত্রপক্ষ]
জানা গিয়েছে, বরগুনায় পড়া না পারায় ছয় বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন শিক্ষক আক্কাস আলি। শিশুটির মেয়ের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটে গত ৯ ডিসেম্বর। আমতলি পৌরশহরের দারুল আরকাম মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু আক্কাস আলি প্রথমে তাঁর ছেলেকে লাঠি দিয়ে পেটান। শিশুটি চিৎকার করলে আক্কাস আলি ক্ষিপ্ত হয়ে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন। এতে ওই পড়ুয়ার হাত ভেঙে যায়। এ অবস্থায় ছেলেকে চিকিৎসা করাননি ওই শিক্ষক এবং অভিভাবকেও জানাননি। বরং মাদ্রাসার একটি কক্ষে চার দিন ধরে তাকে আটকে রাখেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আমতলি থানার পরিদর্শক রণজিৎ সরকার বলেন, “হাত ভাঙা এক শিশুকে নিয়ে এক মহিলা থানায় এসেছিলেন। তিনি মৌখিকভাবে শিক্ষক আক্কাস আলির বিরুদ্ধে পিটিয়ে হাত ভাঙার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ জানতে বলা হয়েছে।” এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষক আক্কাস আলি। তাঁর দাবি, “পড়া না পারায় শিশুটিকে সামন্য দু-একটি চড়থাপ্পড় দিয়েছি। ডাস্টার দিয়ে তাকে আঘাত করিনি।” শিশুটিকে আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে শিশু নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আগেও আলোড়ন হয়েছে। কয়একদিন আগেই জানা যায় যে কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার একটি মাদ্রাসায় দশ মাসে ৭৪ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও একই উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গিয়েছে। প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর অনেক স্কুলেই পড়ুয়ারা আর ফিরে আসেনি। এমনই কাণ্ড ঘটেছে উত্তরের আরেক জেলা নাটোরের বনলতা সেন খ্যাত বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসায়।