সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাঁটছড়া বেঁধেছে Google ও Airtel। দুই সংস্থা মিলে ডিজিটাল কমিউনিকেশন সেগমেন্টে নিয়ে এল বড় পরিবর্তন। নিজেদের নেটওয়ার্কে তারা শুরু করেছে RCS। অর্থাৎ 'রিচ কমিউনিকেশন সার্ভিসেস'। আর এই আপগ্রেডের ফলে ইউজাররা এবার সাধারণ টেক্সট মেসেজ করার সময় এক উন্নত ধাঁচের মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের স্বাদ পাবে। যা মনে করিয়ে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের কথা। যেহেতু এদেশে এয়ারটেলের গ্রাহক লাখো লাখো, তাই এত ইউজারের অচিরেই টেক্সট মেসেজিংয়ের অভিজ্ঞতা বদলে যেতে চলেছে।
কী এই RCS?
আরসিএস-কে বলা হয় নেক্সট জেনারেশন মেসেজিং প্রোটোকল। যা প্রচলিত এসএমএস-এর চেনা ছবিকে আমূল বদলে দেবে। কীরকম পরিবর্তন? সহজ ভাবে বললে সাধারণ মেসেজিংয়ে কেবল টেক্সটই পাঠানো যায়। কিন্তু আরসিএসের দৌলতে হাই রেজোলিউশন ছবি ও ভিডিও পাঠানো যাবে। পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাট, লোকেশন শেয়ারিংয়ের মতো অপশনও থাকবে। অর্থাৎ এবার থেকে এয়ারটেল ইউজাররা ডবল টিক, রিসিভের লাল চিহ্ন সবই দেখতে পাবেন এসএমএসে। মোবাইল ডেটা এবং ওয়াই-ফাইতেও কাজ করবে আরসিএস মেসেজ। ফলে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার ছাড়াই গড়ে তোলা যাবে যোগাযোগ।
আরসিএসের খরচ
এয়ারটেলের তরফে জানানো হয়েছে এর জন্য মেসেজ পিছু খরচ পড়বে ০.১১ টাকা। যার ৮০ শতাংশ পাবে এয়ারটেল। ২০ শতাংশ যাবে গুগলের কাছে। এই পরিষেবায় ফাইল শেয়ারিং, গ্রুপ চ্যাট, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সবই থাকবে। ফলে প্রাইভেসি ও বজায় থাকবে পুরোদমে। বিশেষজ্ঞদের মতে এসএমএসে এমন সুবিধা প্রাপ্ত হওয়ার ফলে হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপগুলি সংকটের মুখে পড়তে পারে অচিরেই। এয়ারটেল, জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া ইউজাররা আরসিএস বার্তা পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
