নিরুফা খাতুন: সাত বছরের রেকর্ড চুরচুর। বাংলা নববর্ষের আগেই দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলা ৪০ ডিগ্রি পার! লু’য়ের দাপটে স্বাভাবিক জনজীবন শিকেয়। সর্বোপরি আগামী অন্তত সাতদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও স্বস্তি বার্তা নেই।
এ রাজ্যে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শুরুই হচ্ছে প্রকৃতির রূদ্ররোষে ভাজাভাজা হয়ে। বর্ষবরণের যাবতীয় উদ্দীপনায় আগুন ঢেলে দিয়েছে এ মরশুমের গ্রীষ্ম। শুক্রবার ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শেষদিনে কলকাতার তাপমাত্রা পার করেছে ৪০ ডিগ্রি। ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার করে এদিন গরমের রেকর্ড গড়েছে পানাগড়। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম, শ্রীনেকতন, আসানসোল, কৃষ্ণনগর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে পারা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সঙ্গে তাপপ্রবাহ চৈত্রের শেষদিনে ঝলছে দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। ঘরেও স্বস্তি নেই। গরম হাওয়ার জন্য জানলা দরজা খোলা যাচ্ছে না। এসি ছাড়া একবিন্দুও থাকা কঠিন। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকলে অনুভূতি হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রির মতো।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি ছেড়ে দেব যদি…’, শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কেন এমন মন্তব্য অভিষেকের?]
নববর্ষ থেকে আরও রুদ্ররূপ নেবে গরম। ২০১৬ সালে এপ্রিলে কলকাতায় (Kolkata) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি। যে গরম হার মানিয়েছে রাজধানী দিল্লিকেও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী সাতদিন কোনও বৃষ্টি নেই। তারপরও যে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে এরকম কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। আপাতত শুষ্ক গরম চলবে। পয়লা বৈশাখের পর তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এপ্রিলের মরশুমে কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের মেয়াদও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। এদিন আলিপুর আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবারের পরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিত চলবে। শনিবার শহরে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি থাকবে। উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই করছে। সেখানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
জ্বালাপোড়া গরম চৈত্র সেলের শেষদিনের বাজারেও ধাক্কা দিয়েছে। দাবদহ ও তাপপ্রবাহে এদিন দিনের বেলায় হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট কার্যত খাঁ খাঁ করছিল। বিকেলের পর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে।