সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা যোগ্যই নন। ফলে তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা আসন দেওয়া হোক নতুনদের। এমনই আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। পুরনোদের করা মামলা খারিজের আর্জি জানিয়েছেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তোলপাড় চলছে বাংলায়। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। পরবর্তীতে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে ১৬৫০০ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১২ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ হলেও ৩৯২৯ আসন এখনও ফাঁকা। ওই পদে নিয়োগের আর্জি নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ওই পদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদেরই নিয়োগ করতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীরা।
[আরও পড়ুন: কেষ্টতেই ভরসা! বীরভূমের বৈঠকে অনুব্রতর পদ্ধতিতেই লোকসভা নির্বাচনের নির্দেশ মমতার]
২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন। প্যানেলের মেয়াদও শেষ। তাই ওই প্যানেলে নিয়োগ করা যাবে না। নতুন প্যানেল প্রকাশ হোক। এবং তাতে ওই ৩৯২৯ পদ জুড়ে দেওয়া হোক। কার্যত একইরকম দাবিতে এদিন ফের আদালতে ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টের পুরনো রায় তুলে ধরে তাঁরা দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের প্রার্থীদের নিয়োগ করা যাবে না। পুরনোদের করা মামলা খারিজের আর্জি জানিয়েছেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। একের পর এক এই মামলায় বিরক্ত রাজ্য। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল হচ্ছে বলেই দাবি আইনজীবীর।