shono
Advertisement

Breaking News

অভিষেকের অফিসের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট।
Posted: 03:53 PM Nov 09, 2022Updated: 04:37 PM Nov 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলেন ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুরে আচমকাই এক্সাইড মোড়ে জমায়েত করে করেন ২০১৪ সালের নন-ইনক্লুডেড টেট প্রার্থীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। জমায়েত ভাঙতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। রক্ত ঝরে আন্দোলনকারীর। আন্দোলনকারীদের টেনে হেঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করে পুলিশ কর্মীরা। পালটা পুলিশের গাড়ির চাকার তলায় মাথা রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এক্সাইড মোড় ফাঁকা করে দিতেই  ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। যার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট।আন্দোলনকারীদের দাবি একটাই, নিয়োগ চাই। 

Advertisement

চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের টানা হেঁচড়া।

[আরও পড়ুন: ‘আইন না মানলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব’, টেট নিয়ে পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন  ভবিষ্যতের শিক্ষকরা। কিন্তু নিয়োগ মেলেনি। এদিন আচমকাই এক্সাইড মেট্রো স্টেশনের সামনে জমায়েত করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভ শুরু করতেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে ছিলেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। অভিযোগ, টেনে হেঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কিন্তু তাতেও তাঁদের দমানো যায়নি।  

 

অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থী।

 

প্রিজন ভ্যান থেকে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা চাকার তলায় মাথা রেখে প্রতিবাদ শুরু করে তাঁরা। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশে তাড়া খেয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে জমায়েত করেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। দাবি একটাই, চুরি হয়ে যাওয়া চাকরি ফেরত চাই। নিয়োগ চাই। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে অভিষেকের সাক্ষাৎ হয়নি।

প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের।

[আরও পড়ুন: সাঁকরাইলের ছেলে কাশ্মীরে গ্রেপ্তার, মেধাবী আমিরুদ্দিনের জঙ্গি যোগে হতবাক গ্রাম]

বরং ফের পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয় তাঁদের। এদিকে পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরিবর্তে তুলে প্রিজন ভ্য়ানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনের জেরে এদিন আশুতোষ মুখার্জি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement