শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: বছর চার আগের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে শুক্রবার চন্দ্রাভিযানে চন্দ্রযান ৩। আর এই সফল অভিযানের অন্যতম অংশীদার বাংলাও। কারণ চন্দ্রযান ৩ ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী।
স্বাভাবিক ভাবেই এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অনুজ নন্দীর বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। খুশির হাওয়া পরিবারে তো বটেই, ইসলামপুর শহরজুড়ে। হাজার হোক, এই ঐতিহাসিক অভিযানে নাম জুড়ে গিয়েছে ঘরের ছেলের।
[আরও পড়ুন: খেলার ছলেই ঘটবে প্রতিভার বিকাশ, কলকাতার বুকে পথ চলা শুরু বিশ্বমানের স্কুলের]
ইসলামপুর হাই স্কুলের পড়াশোনার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। এদিন গর্বে চোখের কোণে জল জমেছে এই কৃতী বিজ্ঞানীর মা সোমাদেবীর। বলেন, “একমাস আগেই ইসলামপুরের বাড়িতে এসেছিল। বেঙ্গালুরু থেকে আজ ফোনে সবটা জানিয়েছে। আমরা এখানে বসেই মোবাইল ফোনে চন্দ্রযান অভিযানের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম।”
শুক্রবার পূর্ব নির্দিষ্ট মাহেন্দ্রক্ষণ, দুপুর ঠিক ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। মাত্র ১৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। তবে চাঁদে (The Moon) পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযানের। বিজ্ঞানীদের অঙ্ক বলছে, ২৩ বা ২৪ আগস্ট উপগ্রহের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩। আর চাঁদ অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি। এর আগে এমন কৃতিত্বের অধিকারী রাশিয়া, আমেরিকা, চিন। ভারত বসল চতুর্থ স্থানে।