অভিরূপ দাস: নিজস্ব গাড়ি আছে। গ্যারাজ নেই। রাস্তাতেই দাঁড় করিয়ে রেখেছেন গাড়ি। গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার একই ছবি। এদিকে পথচলতি সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। শহরের নিত্যনৈমিত্তিক এহেন সমস্যায় নাজেহাল পথচারিরা। রোজদিনই বেআইনি পার্কিং নিয়ে এমন শয়ে শয়ে সমস্যা এসে পৌঁছচ্ছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মহানাগরিক।
মেয়রের কড়া নির্দেশ, কোনও রাস্তায় বেআইনিভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে অবিলম্বে তা স্থানীয় থানার পুলিশকে জানাতে হবে। সম্প্রতি ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবোস লেন থেকে অভিযোগ আসে মেয়রের কাছে। বেআইনী পার্কিং এর ফাঁপরে নিজের বাড়িতেই ঢুকতে পারছেন না পুলক দাস। ওই অভিযোগকারী জানিয়েছেন, বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে নাজেহাল অবস্থা। তৎক্ষনাৎ মেয়র তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করেন। পুলকবাবুর অভিযোগ, ‘কী করে ঢুকব স্যর? বাড়ির সামনে রাস্তা জুড়ে সার দিয়ে দাঁড় করানো গাড়ি। দিনের পর দিন সে গাড়ি সরাতে বলছি, কেউ কথা কানেই তুলছে না।’ মধ্য কলকাতার ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি সংলগ্ন এই রাস্তা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সেখানেই এমন অবস্থা শুনে ক্ষুব্ধ মেয়র। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে তিনি বলেন, কীভাবে রাস্তা জুড়ে বেআইনিভাবে গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। এটা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ওই আধিকারিক বলেন, এর আগে বেআইনি পার্কিং হটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের নতুন করে গাড়ি রাখতে শুরু করেছে। এতেই তাল কাটে মেয়রের।
ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, বছরে এক-আধবার বেআইনি পার্কিং হটানোর জন্য গেলে হবে না। যেখানে বেআইনি পার্কিং হচ্ছে প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহে সেখানে নো পার্কিং ড্রাইভে যেতে হবে। ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, পুলিশকে বলুন অবিলম্বে বেআইনি পার্কিং হটিয়ে দিতে। এটা সম্পূর্ণ পুলিশের দায়িত্ব। মনে রাখবেন আমি মেয়র। কিছু ভুল হলে আমায় সবাই গালাগালি করবে। কিন্তু পুলিশ কমিশনারকে কেউ গালাগাল করবে না। শহরের যে সমস্ত রাস্তায় সরকারি ভাবে কোনও পার্কিং নেই সেখানে অনেকেই বেআইনি পার্কিং করে থাকেন। বেআইনি সেই সমস্ত পার্কিং লটে গাড়ির মালিকদের থেকে মোটা টাকা আদায় করা হয়। এমন অভিযোগ এর আগেও বহুবার এসেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বেআইনিভাবে কেউ পার্কিং করলে আগামিদিনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুরসভা।
[আরও পড়ুন: এনআরসি আতঙ্ক, জন্মের শংসাপত্র তুলতে কলকাতা পুরসভায় মুসলিমদের ভিড়]
The post পুলিশ কী করছে? শহরের বেআইনি পার্কিং নিয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র appeared first on Sangbad Pratidin.