সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। তাইহোকু বিমানবন্দরে ঘটে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। ক্যালেন্ডারের যে তারিখটির সঙ্গে গোটা দেশের আবেগ আজও জড়িত। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সেদিনই মৃত্যু ঘটেছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের। যা বিশ্বাস করে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। তবে সত্যিই কি নেতাজি মারা গিয়েছিলেন সেই দুর্ঘটনায়? নাকি কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আত্মগোপন করেছিলেন? রাশিয়ান থিওরি, গুমনামি থিওরি কোনটি ঠিক? ঠিক এই প্রশ্নগুলিকেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় উসকে দিয়েছেন ‘গুমনামি’র ট্রেলারে। রবিবার প্রকাশ্যে এল বহু বিতর্কিত সেই ছবির ট্রেলার।
[আরও পড়ুন: অভিনয় ছেড়ে খোলামেলা পোশাকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে! জায়রাকে কটাক্ষ নেটিজেনদের]
টিজারে যদি ‘গুমনামি বাবা’ প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়, তাহলে ট্রেলারে আরও অনেক বেশি করে পাওয়া গেল ‘গুমনামি কি নেতাজি?’ সেই প্রশ্নকে এস্টাবলিস করার অক্লান্ত প্রয়াস। নেতাজি যে বিমান দু্র্ঘটনায় মারা যাননি, তা মুখার্জি কমিশনের কাছে ‘মিস্টার ধর’-এর প্রমাণ করার প্রচেষ্টাও তুলে ধরেছেন সৃজিত। আর তাই বোধহয়, কমিশনের সঙ্গে মিস্টার ধরের সওয়াল-জবাবের দৃশ্যেও রাখা হয়েছে ট্রেলারে।
‘নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য’ আজও কেন অধরা? ট্রেলার দেখে আবারও আপনার মনেও সেই প্রশ্নের উদ্রেক হতে বাধ্য। খাওয়া-নাওয়া ভুলে কীভাবে নেতাজির মৃত্যুরহস্য কারও ব্যক্তিগত জীবনের ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছিল এবং প্রভাব ফেলেছিল তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কে, দেখা গেল তারও ঝলক। ‘মিস্টার ধর’-এর ভূমিকায় দেখা গেল অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। এবং তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। হিন্দি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই মুক্তি পেয়েছে ট্রেলার।
‘গুমনামি’ই কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস? এই প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা। তবে আরও একবার সেই বিতর্কিত প্রশ্ন ছুঁড়েই মুক্তি পেল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি: দ্য গ্রেটেস্ট স্টোরি নেভার টোল্ড’-এর ট্রেলার। প্রেক্ষাপট ১৯৭০ সাল। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে এক সন্ন্যাসীবাবার আবির্ভাবে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। তিনি ‘গুমনামি বাবা’। ‘সুভাষ, আমাদের নেতাজি ফিরেছে…’ রব ওঠে দেশে। অনেকেই মনে করেছিলেন গুমনামি নামের এই সন্ন্যাসীই নাকি ছদ্মবেশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ঠিক-ভুল কারও জানা নেই। গোটা দেশ তখন এই রহস্যভেদের কাহিনি জানতে মরিয়া। কারণ, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নেতাজি গত হয়েছেন প্রায় বছর ২৫।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে তিক্ততা, আইনি জটে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ডিভোর্সের মামলা]
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন সুভাষ চন্দ্র বোস। যদিও তার প্রমাণযোগ্য কোনও নথিপত্র নেই। তারপর তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। কাজেই নেতাজির মৃত্যু রহস্যের জট এখনও রয়েছে৷ প্রমাণের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন একজন। তিনি কী পারবেন ইতিহাসের পাতায় সওয়ার করে তাঁর নথিপত্র দিয়ে যথাযোগ্য প্রমাণ করতে? কিংবা তিনি কি পারবেন আবারও ‘নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য’ সমাধা করার দাবীতে দেশবাসীকে সমস্বরে সোচ্চার করতে? উত্তর মিলবে ২ অক্টোবর। কারণ, সেই দিনই মুক্তিই পাবে ‘গুমনামি: দ্য গ্রেটেস্ট স্টোরি নেভার টোল্ড’।
The post নেতাজি অন্তর্ধান নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন তুলে মুক্তি পেল ‘গুমনামি’র ট্রেলার appeared first on Sangbad Pratidin.