সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলে যাওয়ার ভয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর তাই হোয়াইট হাউস (White House) না ছাড়ার ব্যাপারে এতটা মরিয়া হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের প্রতিবেদনকে ঘিরে দানা বাঁধছে এমনই জল্পনা। টানটান উত্তেজনার শেষে আমেরিকার ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জো বিডেন। ভারতীয় সময় শনিবার রাতে পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল সামনে আসতেই স্পষ্ট হয় হিসেবটা। যদিও হার স্বীকার করতে চরম অনীহা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এর পিছনে অন্যতম কারণ, তাঁর কারাবন্দি হওয়ার আশঙ্কা। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এবারের নির্বাচনের আগে থেকেই এমন জল্পনার কথা শোনা গিয়েছে। আসলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। আইনি বিচার প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া, সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন, কর ফাঁকি ছাড়াও আরও অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার অন্যতম বেশ কয়েকটি ধর্ষণের মামলাও। ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই ধরনের মামলাগুলির মুখোমুখি হওয়ার ভয় রয়েছে ট্রাম্পের। এমনকী প্রবল আশঙ্কা রয়েছে গরাদের পিছনে যাওয়ারও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিকের মত, প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘কেবল ফ্লয়েডের নয়, অনেকেরই শ্বাসরোধ হয়েছিল’, বিডেনের জয়ে কেঁদেই ফেললেন কৃষ্ণাঙ্গ সঞ্চালক]
ক্ষমতায় থাকাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের বড়সড় সাহায্য পেয়েছিলেন ট্রাম্প। দেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে তিনি কার্যত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীই হয়ে উঠেছিলেন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সেই দুঁদে আইনজীবীর মূল্যবান পরামর্শও হারাবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এই সব নানা কারণেই গদি ছাড়াতে চূড়ান্ত নারাজ ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: লড়াইয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে টেলিভিশন থেকে দূরেই ছিলেন বিডেন, কার কাছে পেলেন সুখবর?]
এরই পাশাপাশি আরও একটি আশঙ্কা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ হলেই তাঁকে নাকি ডিভোর্স দেবেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প! নিজেদের ১৫ বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানবেন তিনি। আপাতত তিনি অপেক্ষা করছেন মেয়াদ শেষ হওয়ার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সময়টা ভাল যাচ্ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নির্বাচনে পরাজয়ের ধাক্কার পাশাপাশি এই সব নানা কারণেই অস্বস্তি বাড়ছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের।