নব্যেন্দু হাজরা: ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ চলছে। কিন্তু এখনও শীত যেন এসেও আসছে না কলকাতায়। জেলার তাপমাত্রা নিম্নমুখী হলেও বেলা বাড়তেই তিলোত্তমায় হাঁসফাঁস দশা। কতদিনে জাঁকিয়ে শীত পড়বে শহরে? আশার কথা শোনাতে পারল না হাওয়া অফিসও।
আবহাওয়া দপ্তর (Regional Meteorological Centre) সূত্রে খবর, জেলায় জেলায় দিনভর শীতের আমেজ জারি থাকলেও কলকাতায় বেলা বাড়তেই উধাও হবে শীত। মেঘমুক্তই থাকবে তিলোত্তমার আকাশ। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুরেভি এখন অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কায়। পরবর্তীতে এটি এগিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে গালফ অব মানারে অবস্থান করবে। সেখানে শক্তি সঞ্চয় করে আবার অভিমুখ পরিবর্তন করবে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়বে বৃহস্পতিবার রাত অথবা শুক্রবার সকালে। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর কাছে রামনাথপুরমে এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগ হবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
[আরও পড়ুন: ‘৪০ লক্ষ টাকার বাড়ি হল কী করে?’ গ্রামবাসীদের রোষানলে তৃণমূলের উপপ্রধান, দেখুন ভিডিও]
জানা গিয়েছে, বুরেভির প্রভাবে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরল ও তামিলনাড়ুতে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তামিলনাড়ু ও কেরলের দক্ষিণ অংশে। ভারী বৃষ্টি হবে পুদুচেরি অন্ধ্র প্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায়। ঝড়ের তাণ্ডবে কেরলের তিরুবন্তপুরম আল্লাপি-সহ বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। ক্ষতির আশঙ্কা তামিলনাড়ু, কন্যাকুমারী রামনাথপুরয় ও শিবগঙ্গা-সহ বেশকিছু জেলায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আন্দামান সাগরে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়াচ্ছে ওই সাগরের। আরও দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকা এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশে। শুক্রবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে জম্মু-কাশ্মীরে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির। ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ সংলগ্ন রাজ্যে। সপ্তাহান্তে তুষারপাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের মতো এলাকাতেও।