সুব্রত বিশ্বাস: নিউ নর্মালে খোলনলচে বদলে ফেলছে লোকাল ট্রেন (Local Train)। রঙের নতুন প্রলেপ পড়ছে লোকাল ট্রেনের গায়ে। ব্যবস্থা হচ্ছে গান বাজানোরও। যদিও শুধুমাত্র হাওড়া ডিভিশনের (Howrah Divison) ট্রেনেই আপাতত এই মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
হাওড়া ডিভিশনের ষাটটি লোকালের ফেসিয়া ও বডিতে রঙ করার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ডিভিশনে আসা নতুন রেকগুলিতে গন্তব্য সম্পর্কিত ঘোষণার ফাঁকে বাজানো হবে গানও। পরীক্ষামূলকভাবে আটটি রেকে এই মিউজিক সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এরপর যাত্রীদের মতামত নেওয়া হবে। তাঁরা চাইলে সব ক’টি আধুনিক রেকে এই সিস্টেম চালু হবে। যাত্রীদের পছন্দ না হলে তুলে দেওয়া হবে এই মিউজিক সিস্টেম। তবে শিয়ালদহ ডিভিশনে আপাতত এই পথে হাঁটছে না।
[আরও পড়ুন : বসিরহাটে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা বলেন, “সাধারণত দু’বছর বা তারও বেশি সময় বাদে রেক রং করা হয়। কিন্তু এই প্রথম ডিভিশনের ষাটটি ট্রেনকে প্রায় একসঙ্গে রং করা হচ্ছে।” এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, “দীর্ঘদিন ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে ট্রেনগুলি জৌলুষ হারিয়েছে। অতিমারির আতঙ্কের মাঝেও জীবিকার তাগিদে মানুষ ট্রেনে চড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের একটু আনন্দ দিতেই এই ব্যবস্থা। নতুন রঙে তাঁদের মন ভাল হবে।” ডিআরএম আরও বলেন, “ট্রেনগুলিকে দৈনিক পরিষ্কার করা হচ্ছে। যাত্রার শুরু ও শেষে রেকগুলি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।”
হাওড়া ডিভিশনের রেকের বার্ষিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়ে কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে রং করা হত। কিন্তু এই প্রথম সব ক’টি রেক হাওড়া কারসেডেই রং করা হচ্ছে। খরচ বাঁচাতে ডিভিশনের কর্মীদেরই এই কাজে লাগানো হয়েছে। তবে শিয়ালদহ ডিভিশন এক সঙ্গে সব ট্রেনের রং করার পথে যাচ্ছে না। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানান, “জনসাধারণের জন্য যখন ট্রেন চলছিল না তখন প্রায় পঞ্চাশ-ষাট শতাংশ ট্রেন রঙ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে এমন উদ্যোগের দরকার নেই এই ডিভিশনে। তবে কোভিডবিধি মেনে সাফাই চলছে পুরোদমে।”
[আরও পড়ুন : অনুব্রতর গড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি]
লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় মার্চের শেষ সপ্তাহে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১১ নভেম্বর থেকে ফের চাকা গড়ায় লোকালের। ইতিমধ্যে দুই ডিভিশনে প্রায় নব্বই শতাংশ ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। হাওড়ায় দৈনিক যাত্রী সংখ্যা সওয়া আট লাখে পৌঁছে গিয়েছে। শিয়ালদহে ১৫ লক্ষ। এরমধ্যে ট্রেনের শ্রী ফেরাতে তৎপর ডিভিশন। যা যাত্রীদের কাছে বাড়তি পাওনা৪ বলে মনে করেছেন হাওড়া ডিভিশনের কর্তারা।