সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। পেটের মেদ ঝড়াতে ডায়েট চার্টও বানিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু দিনের শেষে কি নিট ফল শূন্য? কোনওভাবেই ওজন কমাতে পারছেন না। পুরনো জিনসগুলো পরার শখ এখনও পূরণ করতে পারেননি? এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হওয়ার কথা। দৈনিক পরিশ্রম রীতিমতো মাঠে মারা যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? আসলে শরীরচর্চা কিংবা ডায়েটের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু গলদ থেকে গেলে এই সমস্যাটি হয়। হাজার চেষ্টাতেও ক্যালরি বার্ন হচ্ছে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন পাঁচটি বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে।
১. আপনার খাওয়া-দাওয়া ঠিক হচ্ছে। আরও একটু খোলসা করে বললে বলতে হয়, পেট তথা শরীর স্থূল হয়ে যাওয়ার ভয়ে ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে দৈনিক যতখানি ক্যালরি প্রয়োজন, শরীর তা পাচ্ছে না। স্লিম ফিগার পাওয়ার স্বপ্নে খাওয়া-দাওয়া কার্যত বন্ধ করে দেওয়া কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার রোজ খেতেই হবে। শরীরকে দিতে হবে ভিটামিনও। শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে পুষ্টিকর খাবার ও বেশি করে জল পান অতি আবশ্যক।
২. হতেই পারে আপনি কাজ করতে ভালবাসেন। কিন্তু লাগাতার কাজ যখন স্ট্রেসে পরিণত হয়, তখনই হয় মুশকিল। অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হলে শরীর থেকে কর্টিসল হরমোন (cortisol hormone) ক্ষরণ হয়। গবেষণা বলছে, এই ধরনের হরমোন বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক পাচন ক্ষমতা রোধ করে। ফলে ক্যালরি বার্ন করার ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কমে যায়।
৩. দিনভর কাজ করবেন আর একটু পার্টিতে হইহুল্লোড় হবে না, তা কি হয়? মাসভর শরীরচর্চা, ডায়েটের পর যদি একদিনের পার্টিতে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করে ফেলেন, তাহলে কিন্তু সব পরিশ্রম জলে যাবে। তাই মদ্যপান করলেও খুব মেপে। ডিনার টেবিলে যদি খাবারের সঙ্গে মদ খান, তবে মদ্যপান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আবার যদি আপনি শুধুই ধূমপায়ী হন, তাহলেও কিন্তু পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ানো আপনার জন্য বেশ কঠিন।
৪. আপনার পরিবারের কি অনেকের শরীরই স্থূল? তাহলে বংশানুক্রমে আপনিও সেই ধাঁচ পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি কসরত করতে হবে।
৫. আপনি কি নিশাচর? না মানে, রাত জাগতে ভালবাসেন? মোবাইল কিংবা বইয়ের পাতায় চোখ রেখে গভীর রাত থেকে ভোর হতেও দেখেন? তাহলে এখনই বদলে ফেলুন সেই অভ্যেস। কারণ এতে বিপাক ক্রিয়া সুস্থ স্বাভাবিক ছন্দে চলে না।