টাটা মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালিত সেক্টর ফান্ডগুলো নজর এড়ায় না। রয়েছে ইনফোটেক, এনার্জি, হেলথকেয়ার ছাড়াও একাধিক বিশেষ প্রকল্প। দুটি ব্যতিক্রমী স্কিম বেছে নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করল টিম সঞ্চয়
একসঙ্গে একগুচ্ছ সেক্টর ফান্ড পাওয়া যাবে টাটা মিউচুয়াল ফান্ডের খাজানায়। ইনফোটেক, এনার্জি, হেলথকেয়ার ইত্যাদির জন্য বিশেষভাবে গঠিত এই প্রকল্পগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। আজ এগুলোর মধ্যে থেকে দুটি নির্দিষ্ট ফান্ড বেছে বিশদে আলোচনা করছি আমরা।
Tata Resources & Energy Fund
Tata India Pharma & Healthcare Fund
১. টাটা রিসোর্সেস অ্যান্ড এনার্জি প্রধানত পাওয়ার (রিনিউএবল, নন-রিনিউএবল), সিমেন্ট এবং বিভিন্ন কমোডিটি-ভিত্তিক ক্ষেত্রে লগ্নি করে। পোর্টফোলিওতে আছে মেটালস, কেমিক্যালস, ফার্টিলাইজার ইত্যাদির মতো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কোম্পানিও। তবে প্রধান লক্ষ্য পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করা। উল্লেখ্য, নানা সরকারী নীতির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই সেক্টরে প্রচুর নতুন লগ্নি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
২. টাটা ইন্ডিয়া ফার্মা অ্যান্ড হেলথকেয়ার ফান্ডের বড়-সড় হোল্ডিংগুলোর মধ্যে আছে ওষুধ নির্মাতা এবং কর্পোরেট হসপিটাল ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ফান্ড ম্যানেজার “কনসেনট্রেটেড” পোর্টফোলিও বজায় রাখেন, উদ্দেশ্য যথাসম্ভব ভালো রিটার্ন এনে দেওয়া কেবলমাত্র ফার্মা বা মেডিক্যাল ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে। বিশেষ নজর দেওয়া হয় সেই কোম্পানিগুলির দিকে যেগুলো এক্সপোর্ট মার্কেটে বিশেষ ভূমিকায় আছে। ইদানীং ফার্মা সেক্টরে একগুচ্ছ নতুন সংস্থা বড় মাপের ব্যবসা করছে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা (রফতানিরও) বাড়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পেরেছে এগুলো।
৩. টাটা মিউচুয়ালের কর্তৃপক্ষের মতে সেক্টর-ভিত্তিক ফান্ড অনেক সময় “ন্যারো” হতে পারে, অর্থাৎ এর ইনভেস্টমেন্ট ইউনিভার্স তেমন বিস্তৃত না হওয়াই সম্ভব। তবে পাওয়ার তথা রিসোর্সের মতো থিম এই ধারণার ঊর্ধ্বে, কারণ এমন ফান্ড বাজারের একটি বড় অংশ থেকে নিজের স্টক বেছে নিতে পারে। যারা এমন ফান্ড চান না (অর্থাৎ সংকীর্ণ কোনও সেক্টরে আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করেন না) তাঁরা আরও ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিওর দিকে নজর দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদী সুযোগের চাবিকাঠি এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ড, জেনে নিন নয়া অফার]
সঞ্চয়-এর সংযোজন - সেক্টর ফান্ডের রিস্ক সম্বন্ধে সতর্ক থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। এবং সাধারণ ইনভেস্টরদের পক্ষে নিজে বেছে নেওয়া অসুবিধাজনক হতে পারে – তাই পেশাদার পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া উচিত। বিরাট বড় থিম হলে হয়তো তেমন নাও মনে হতে পারে। ইদানীং বিভিন্ন সেক্টরে লগ্নি করার চল বেশ বেড়েছে, পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট।
সাম্প্রতিককালে নতুন ধরনের বিনিয়োগ এসেছে ডিফেন্সে, যেটি বিশিষ্ট স্থান ইতিমধ্যে পেয়েছে ভারতীয় বাজারে। আবার তুলনায় কয়েকটি ছোট সেক্টর – যেমন ট্যুরিজম – সম্বন্ধে কৌতূহল বাড়ছে বলে বোঝা যাচ্ছে। সাধারণভাবে মূল (“কোর”) হোল্ডিংয়ের সঙ্গে “স্যাটেলাইট” হিসাবে সেক্টর ফান্ড ব্যবহার করছেন ইনভেস্টরদের একাংশ। এই সম্বন্ধে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছেন পেশাদার অ্যাডভাইজাররাও। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলোর বার্তাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য।