সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পলপলা নদীর বিশাল বাঁধকে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রামের ভরবনিতে গড়ে উঠেছে পর্যটনের নয়া ক্ষেত্র। ঘন শাল অরণ্য শোভিত শান্ত প্রকৃতির মধ্যে নিহিত রয়েছে সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন। সেই রূপের শোভা বাড়িয়েছে শীতকালে আসা পরিযায়ী পাখির দল। ভরা বর্ষায় পলপলা নদী দিয়ে যখন কলকল শব্দে জল বয়ে যায়, সেই শব্দ নাকি আরও দ্বিগুণ করে তোলে এই এলাকার রূপমাধুরীকে। প্রকৃতির এই অপূর্ব রূপ এখনও হয়ত চাক্ষুষ করেননি অনেক পর্যটক। তবে জামবনি ব্লকের লালবাঁধ অঞ্চলে ঘন জঙ্গলের ভিতর গড়ে ওঠা পলপলা নদীর সুদীর্ঘ বাঁধ পর্যটনের এক অসাধারণ ক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী অনেকেই।
[শীত বাড়তেই দক্ষিণ রায়ের দর্শনে পর্যটকদের ভিড় সুন্দরবনে]
জামবনি ব্লকের চিলকিগড়ের ডুলুং নদীর ধারে কনকদূর্গা মন্দির এবং এর আশপাশের অরণ্য আজ অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে। পর্যটকদের অধিকাংশ জামবনি ব্লকের চিলকিগড়ে গেলেই একবার অন্তত ঘুরে আসেন সেখানে৷ তবে পলপলা নদীর এই বাঁধটিও যে এক অসাধারণ সুন্দর জায়গা, তা জানেন না অনেকেই। চিলকিগড় থেকে ১৫-১৬ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে এই স্থান। এর কাছেই রয়েছে অত্যন্ত প্রাচীন পলপলা নদী আর ঘন জঙ্গলবেষ্টিত স্বর্গবাউড়ি দেবীর মন্দির। আর এখান থেকে সামন্য দূরেই রয়েছে পলপলা নদীর বাঁধ। ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় লালবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্থানটিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে৷
[শুরু হচ্ছে মানালির উইন্টার কার্নিভাল, চলবে টানা আটদিন]
চিলকিগড় মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নিষিদ্ধ হয়েছে পিকনিক। তাই পর্যটকরা অনেকক্ষেত্রে পিকনিক করার জায়গা পান না। প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য পলপলার বাঁধে পিকনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সেখানে রয়েছে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, রয়েছে পিকনিক করার জন্য সুন্দর শেড দেওয়া জায়গা৷ আগে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আসার রাস্তাটি ছিল যথেষ্ট কাঁচা। এখন সেই জায়গায় সুন্দর কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়েছে। যাতে কোন বিপদ না ঘটে সেজন্য নদীর পাড়ে দেওয়া হয়েছে রেলিং৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই স্থানগুলিকে নিয়ে প্রচার নেই৷ ফলে এখনও এই স্থানগুলি সকলের নজরে আসেনি। তবে এবার এই স্থানের প্রচারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি৷
ছবি : প্রতীম মৈত্র
The post শীতের মরশুমে হাতছানি দিচ্ছে অরণ্যে ঘেরা পলপলা নদীর বাঁধ appeared first on Sangbad Pratidin.