সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোহেমিয়ান মন কোনও বাধার তোয়াক্কা করে না৷ ইচ্ছের কোনও সীমানা নেই বটে, তবে সাধ্যের আছে৷ তা বলে কী যাযাবর মন স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেবে? মোটেও না স্বপ্নের বিশ্বাস নেই, কবে বাস্তব হয়ে যায়, কে জানে? আসুন তবে আজকে আপনাকে তেমনই এক স্বপ্নের পৃথিবীতে নিয়ে চলি, যা বাস্তবের স্বর্গে পরিণত হয়েছে৷ আন্টার্টিকার ২০০ ফুট বরফের সাম্রাজ্যের মাঝে অবস্থিত এই ছোট্ট একটুকরো রাজপ্রাসাদ, হুইচওয়ে ক্যাম্প৷
নতুন কিছু করার তাগিদেই ২০০২ সালে এই ক্যাম্প তৈরি করেন প্যাট্রিক উডহেড৷ এখন হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী নিয়ে তিনিই সব ব্যবস্থাপনা দেখেন৷ পৃথিবীর দক্ষিণতম প্রান্তের এই আদিম সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে গেলে একজনের আটদিনের জন্য লাগবে ৪৬,৭৫,২৯৬ টাকা৷
হ্যাঁ, আমার-আপনার মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির পক্ষে এই মূল্য চোকানো সম্ভব হয়তো নয়৷ তবে ‘অ্যাকচুয়াল’-এর অক্ষমতাকে সামলে রেখে, ‘ভার্চুয়াল’ ভ্রমণ তো করাই যেতে পারে৷ তবে চলুন বিলাসবহুল ‘হুইচওয়ে’র অন্দরমহলে৷
ক্যাম্পে মোট ছ’টি ‘ইগলু’র আদলে তৈরি কেবিন রয়েছে৷ আর রয়েছে এই এই কমন ডাইনিং রুম৷ যেখানে মিলবে খানাপিনার ভরপুর সম্ভার৷
এই পশ লাউঞ্জ অবশ্য শুধুমাত্র পর্যটকদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য৷ কৃত্রিম হিটারে নরম সোফায় সেধিয়ে গিয়ে যেখানে সাদা বরফের মাঝে নীল আকাশের তারাদের সঙ্গে আলাপ জমাতে পারবেন৷
রয়েছে বিশেষ ভাবে ডিজাইন এই ছিমছাম বেডরুম৷ যেখানে আপনি শুধুই আপনার৷
প্রত্যেক কেবিনে রয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি অ্যাটাচড বাথরুম৷
মাত্র আড়াই ঘণ্টার উড়ানে পৌঁছে যেতে পারেন পেঙ্গুইনদের এলাকায়৷ ভালবেসে সকলকেই আপন করে নেয় এই প্রাণীরা৷
অভিযানের নেশা থাকলে চলে যান সাদা মরুভূমিতে ‘স্কি’ করতে৷ চাইলে ‘আইস ক্লাইম্বিং’ও করতে পারেন৷
এত আয়োজনেও পরিবেশ সচেতন মানুষদের চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করেই গড়ে উঠেছে বরফের সাম্রাজ্যে মানুষের রাজপ্রাসাদ৷ পুরোটাই চলে সৌর ও বায়ু শক্তির দ্বারা৷
The post বোহেমিয়ান মনের স্বপ্নের ঠিকানা বরফের সাম্রাজ্যে এই আস্তানা appeared first on Sangbad Pratidin.