সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অনেকেই। পুলিশের এমন কাজের অনেকেই প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ এনকাউন্টারের বিরোধিতাও করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, আইন মেনেই হয়েছে এনকাউন্টার। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে। সেখানে ১৬টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। বিদেশেও ধর্ষণের শাস্তিস্বরূপ একাধিক উপায়ের উল্লেখ রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন দেশে ধর্ষণের কী শাস্তি।
ফ্রান্স : ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন জেলও হতে পারে।
চিন : মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গিয়েছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
সৌদি আরব : প্রকাশে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া : ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান : আদালত রায় দানের চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে মারা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়, আদালত যেমন রায় দেয়।
মিশর : এ দেশে এখনও অনেক অপরাধেই মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা রয়েছে। তেমনই ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান : শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে।
ইজরায়েল : দোষী প্রমাণে ১৬ বছরের জেল। এই দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা আরও ব্যাপ্ত। অন্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
আমেরিকা : স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের জেল থেকে যাবজ্জীবন জেলও হতে পারে।
রাশিয়া : ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের জেল। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
নরওয়ে : সম্মতি ছাড়া যে কোনও যৌনতাই ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের জেল হয়।
The post প্রকাশ্যে গুলি থেকে পুরুষাঙ্গ ছেদ, অন্যান্য দেশে আরও কঠোর শাস্তি পেতে হয় ধর্ষকদের appeared first on Sangbad Pratidin.