সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণহানি, গোলাগুলি, বোমবাজি, রক্তারক্তি। বাংলার ভোট আর হিংসা যেন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তা সে পঞ্চায়েত ভোট হোক, বিধানসভা অথবা অতীতের লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু চব্বিশের ভোটে চমক। সাত দফার দীর্ঘতম সময়সীমার ভোটে তেমন বড় কোনও অশান্তির সাক্ষী হয়নি বাংলা। ঝরেনি সেভাবে রক্ত। হয়নি প্রাণহানিও। "বুলেট নয়, ব্যালটেই আস্থা রেখেছে বাংলা", রক্তপাতহীন বাংলার ভোটকে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার(Rajiv Kumar)।
তিনি জানান, ২৩টি দেশের অন্তত ৭৫ জন ভারতে আসেন। তাঁরা ভারতের অনেক বুথে ঘুরে দেখেন। তার পরই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, "আমরা কী রকম হিংসা দেখতাম আপনাদের মনে আছে? কিন্তু এবার সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, কাশ্মীর-সহ সারা দেশে সে রকম কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি।" তিনি আরও বলেন, "আগে ভোটের সময় কী রকম টাকা, শাড়ি, মদ বিলি হত আপনারা জানেন। এবার তা রুখে দেওয়া গিয়েছে। আড়াই বছরের চেষ্টাতেই তা সম্ভব হয়েছে। আমরা জানতাম আমরা এটা হতে দেব না। ১০ হাজার কোটির জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।" বাংলার মানুষ বুলেট নয়, ব্যালটেই আস্থা রাখায় খুশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি ভোট বাড়ল ৩ শতাংশ! শেষ দফায় উনিশকে টপকাতে পারল বাংলা?]
ভোটে তেমন অশান্তি হয়নি ঠিকই। তবে ভোট মিটতেই বাংলার ছোট বড় হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমার বলেন, "আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী সেভাবে হিংসা হবে না। তবে যদি হয়, তা মাথায় রেখে কয়েকটি রাজ্যে সিআরপিএফ থাকবে। তার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে রাজ্য সরকার এবং সিআরপিএফ ভোট পরবর্তী হিংসা হতে দেবে না।" বলে রাখা ভালো, রাজ্য়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৬ জুনের পরিবর্তে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।