সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে আসে একাধিক দুর্ঘটনার খবর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালকের গাফিলতির কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা গুলি। তবে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটে রাতের অন্ধকারে। কখনও রাতের অন্ধকারে মাইলের পর মাইল ড্রাইভ করতে করতে চালক নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আবার কখনও রাতের বেলা উলটোদিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলোর কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় পথ দুর্ঘটনায়।
[আরও পড়ুন: উঠে গেল নির্বাসন, ফের ডাউনলোড করা যাচ্ছে টিকটক]
কিন্তু এর সমাধান কোথায়? নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই কী এই পরিস্থিতি পরিবর্তন সম্ভব? হয়তো না। কারণ, রাতের অন্ধকারে উলটো দিক থেকে আসা গাড়ির আলোয় চোখে ধাঁধা লেগে যায় চালকের। আর সেই কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা। কেবলমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেছিল বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র রিষঙ্ক কারাপার্ত্রি। সে চিন্তাভাবনা শুরু করে এমন কিছু তৈরির যা রাতের অন্ধকারে উলটো দিক থেকে গাড়ির আলোয় কোনওভাবেই কোনও চালক অস্বস্তিতে পড়বেন না। এই কারণে একটি যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করে ওই পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, একটি পিআই সার্কিটের সঙ্গে একটি সেন্সর আপনাকে জানিয়ে দেবে দূর থেকে আপনার দিকে ধেয়ে আসছে গাড়ি।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইউজারদের এই পছন্দের ফিচারটি]
উলটো দিকে থাকা গাড়িটি একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরিয়ে আপনার গাড়ির কাছে আসতেই কমবে হেডলাইটের তীব্রতা। যাতে উলটো দিকের গাড়ির চালকের চোখে তীব্র আলো না পড়ে। গাড়িটি পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার পর ফের স্বাভাবিক হবে আলো। কিন্তু সেক্ষেত্রেও কিছু প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাচ্ছিল। এরপর এবিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা শুরু করে রিষঙ্ক। কীভাবে মোবাইলের মাধ্যমে এই ডিভাইস ব্যবহার করা যায় তা নিয়েও গবেষণা করে সে। সেই সঙ্গে ভাবতে থাকে এমন কিছু তৈরির কথা যা চালকের আশে পাশে রাখার প্রয়োজন পড়বে না। অবশেষে মিলেছে সাফল্য। জানা গিয়েছে, যে কোনও গাড়িতে এই ডিভাইস থাকলে সেটির মাধ্যমেই প্রয়োজন মতো কমবে হেডলাইটের তীব্রতা। কিশোরের দাবি, দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাবে এই ডিভাইস। এবং এর মাধ্যমে রাতের বেলা দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
The post রাতে পথ দুর্ঘটনা রুখবে অভিনব যন্ত্র, যুগান্তকারী আবিস্কার স্কুল পড়ুয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.