সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: করোনার (Coronavirus) মাঝে নয়া আতঙ্ক। অজানা জ্বরে রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঘটছে প্রাণহানিও। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির পর এবার প্রাণ গেল মালদহের (Malda) তিন শিশুর। আশঙ্কাজনক কমপক্ষে ১৫ জন।
জানা গিয়েছে, শতাধিক শিশু অজানা জ্বরে (Fever) আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকালে আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন শিশুর প্রাণহানিও হয়। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে ওই হাসপাতালে ভরতি ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: তালতলায় বন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের দেহ, মৃত্যুর কারণে ধোঁয়াশা]
এদিকে, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) অবস্থাও প্রায় একইরকম। গত কয়েকদিনে জলপাইগুড়িতে শতাধিক শিশুর আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসাবে ইনফ্লুয়েঞ্জাকেই দায়ী করছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় জানান, জলপাইগুড়ি থেকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ১০ জন শিশুর নমুনা পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন শিশুর শরীরে আরএস ভাইরাস এবং আরও ৩ জন শিশুর শরীরে ইনফ্লয়েঞ্জা বি ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপারের নেতৃত্বে গঠিত ওই মেডিক্যাল টিমে দু’জন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, একজন প্যাথলজিস্ট-সহ আরও দু’জন চিকিৎসক ওই মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও অজানা জ্বরের প্রকোপ। দুর্গাপুর (Durgapur), মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পর পুরুলিয়াতেও (Purulia) অজানা জ্বরের প্রকোপ। দু’শোরও বেশি শিশু ভরতি দেবেন মাহাতো গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৃথক পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড করে দুটি তলায় চিকিৎসা চলত। অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পৃথক পেডিয়াট্রিক ভবনের চারটে তলাকেই কাজে লাগানো হচ্ছে।