অর্ণব আইচ ও সুব্রত বিশ্বাস: দশমীর রাতে বেপরোয়া গতি কাড়ল প্রাণ। শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে দু্র্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
বুধবার রাতে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে ৪৬ নম্বর রুটের একটি বাস দ্রুতগতিতে আসছিল। সেই সময় ফ্লাইওভার দিয়ে আসা ছ’জন পথচারীকে ধাক্কা মারে বাসটি। একসঙ্গে সকলে ঠাকুর দেখে ফিরছিলেন। ওই দলেই ছিলেন বছর আঠারোর অদিতি গুপ্ত, নীলেশ গুপ্ত, রাহুল কুমার প্রসাদ, নন্দিনী প্রসাদ, ঋষি গুপ্ত, রাহাত গুপ্ত। প্রত্যেককে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মাল নদীর হড়পা বানে স্বজনহারাদের পাশে কেন্দ্র ও রাজ্য, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা]
চিকিৎসকরা বছর আঠারোর অদিতিকে মৃত বলে জানান। বাকিদের চিকিৎসা শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর জখমদের কোঠারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে প্রাণ হারান বছর আঠারোর নন্দিনী কুমার এবং ত্রিশ বছর বয়সি রাহুল কুমার প্রসাদ।
রেষারেষি করতে গিয়ে নাকি বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ছ’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল বেসরকারি বাসটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় বাসের কন্ডাক্টর ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৮, ৩৩৮, ৩৩৬, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে বাসচালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে এখনও পলাতক। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।