দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কদিন আগে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। এলাকার মৎস্যজীবীদের সঙ্গে গিয়েছিলেন মাছ ও কাঁকড়া ধরতে। তাতেই নামল ঘোর বিপদ।
জঙ্গলের ভিতরে পৌঁছতেই হঠাৎ বাঘের হানা। সঙ্গীদের সাহায্যে কোনও রকমে ছাড়া পান সাক্ষাৎ যমরাজের মুখ থেকে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পর অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আহত ব্যক্তি।
সুন্দরবনের (Sunderbans) ছোট মোল্লাখালি অঞ্চলের বাসিন্দা জগদীশ মণ্ডল। দীর্ঘ দিন বাইরের রাজ্যে কাজ করার পর বাড়ি ফিরে আসেন। ঠিক করেন এবার বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। সেইমতো ১২ ফেব্রুয়ারি এলাকার কিছু মৎসজীবীদের সঙ্গে ছোট মোল্লাখালি থেকে চামটার জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ও মাছ ধরতে। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ পিলে চমকানো শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। কিছু বুঝে ওঠার আগে বাঘের (Royal Bengal Tiger) থাবা এসে পড়ে জগদীশের ঘাড়ে ও মাথায়। গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গীরা বাঘের মুখ থেকে ছাড়িয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জগদীশকে নিয়ে আসা হয় সোনারপুরের কালিকাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই দীর্ঘ চিকিৎসার পর অবশেষে অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মমতাকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা! পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক]
চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শুভায়ণ বণিক বলেন, “জগদীশবাবুকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তাঁর অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। ডান কাঁধ, গালের কিছুটা অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে গলার শিরা-ধমনী,ফুসফুস,চোখের মতো অংশগুলোর অবস্থা ঠিকই ছিল। আমরা সেই মতো চিকিৎসা শুরু করি। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন:দেখতে খারাপ তাই বৈঠকে ডাকেনি! বীরভূমে সায়নীর সভার আগে ‘অভিমানী’ তৃণমূল যুব নেতা]
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে হাসপাতালের বেডে শুয়ে জগদীশ বলেন, “আমরা নৌকায় ছিলাম। হঠাৎ মাথার উপর থেকে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বাঘ। তুলে নিয়ে যেতে পারেনি। সঙ্গীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।”