স্টাফ রিপোর্টার: শপথ জটিলতার জেরে ফের বিধানসভায় ধরনায় বসতে পারেন দুই বিধায়ক। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধান রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিন উপলক্ষে নির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নিচে আবারও ধরনায় বসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের শপথ জটিলতা নিয়ে রবিবারও আক্ষেপ করেছেন। দুজনেই চান দ্রুত এই সমস্যা মিটুক।
একইসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অনড় অবস্থানের মুখে তাঁদের বক্তব্য, উনি বিধানসভায় আসুন। বিধানসভাতেই শপথ পড়ান। এদিকে কোচবিহারে নারী নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আজই বিধানসভায় ধরনায় বসতে চেয়ে বিজেপির তরফেও আবেদন করা হয়েছিল। তবে ইতিমধ্যে তৃণমূলের দুই জয়ী সেখানে ধরনায় বসার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে রাখায় বিজেপিকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে তাদের তরফে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: দম্পতি পরিচয়ে লজে যৌনতা? বর্ধমানের মহিলাকে ‘খুন’ করে উধাও পুরুষসঙ্গী]
বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এই আবহে আজ তাদের মহিলা বিধায়করা কোচবিহারের ঘটনাকে সামনে রেখে ধরনায় বসতে চান। তাঁরাও আম্বেদকর মূর্তির নিচেই ধরনায় বসার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তাঁরা বিধানসভা চত্বরে যে কোনও জায়গায় ধরনা করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে চান। সেক্ষেত্রে বিধানসভার গাড়ি বারান্দার সামনে আজ তাঁরা এই উদ্দেশ্যে জমায়েত করতে পারেন। তবে অনুমতিহীন এই জমায়েত বা ধরনা তাঁরা আদৌ কতটা করতে সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে জোর খাটিয়ে সেই কর্মসূচি তাঁরা করতে চাইলে অশান্তি বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি তেমন উত্তপ্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি ব্যবস্থাও থাকবে।
রেয়াত এদিন বলেন, “আমরা রাজভবনকে শেষ যে চিঠি দিয়েছিলাম, তার আর কোনও জবাব মেলেনি। রাজ্যপালও কলকাতা ফেরেননি। ফলে আমরা এখন কী করব সেটা বুঝতে পারছি না। তবে ধরনা কর্মসূচি চলবে। আমরা শেষ চিঠিতেও রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছি, তিনি এসে আমাদের শপথ পড়ান।” পরিস্থিতি নিয়ে এদিন একটি কর্মসূচিতে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আক্ষেপ করেন বরানগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা। শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে তিনি যে কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কথায় কথায় তা বলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রীকে। আপাতত ধরনায় বসছেন তাঁরা।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে আক্ষেপ করে নিজে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে দুই বিধায়ককে শপথ পড়ানোর জন্য বিধানসভায় আসার আবেদন করেছেন। এই জটিলতার সুরাহায় দ্বিতীয় কোনও পথ খুঁজে পাওয়া যায় কি না সেই ভাবনা রয়েছে তাঁরও। একাধিক আইনি পরামর্শ নেওয়া চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যক্ষ।