সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের একদিন আগে দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘জাগো বাংলা’ সম্পাদকীয়তে সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের তৃণমূলের পরামর্শ, ‘রাজ্যপালের উচিত রাজভবন ছেড়ে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামা।’
বস্তুত, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে শুরু থেকেই সরব রাজ্যপাল। এমনকী বেনজিরভাবে ভোটের আগে জেলায় জেলায় গিয়েছেন তিনি। হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার খানিকটা রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সিভি আনন্দ বোসের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শাসকদল। ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla) সরাসরি তাঁকে আরএসএসের (RSS) এজেন্ট হিসাবে তোপ দাগা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে আসা ইস্তক আরএসএসের এজেন্ডাগুলিকেই পূরণ করে চলেছেন সিভি আনন্দ বোস।
[আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে বেধড়ক মার, প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত সহকর্মীরাও, চাঞ্চল্য হুগলিতে]
শাসকদলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, “বাংলায় রাজ্যপাল বিজেপির অভিসন্ধি পূরণে নেমেছে।” বস্তুত, বৃহস্পতিবার যেভাবে রাজ্যপাল রাজভবনে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন, সেটাও বেনজির। তৃণমূল (TMC) বলছে, “রাজ্যপালের কোনও বক্তব্য থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর উচিত সেটা মন্ত্রিসভাকে জানানো। তিনি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অথচ সেই কাজটিই ভোটের মুখে নির্লজ্জভাবে তিনি করে চলেছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘চারদিকে বামেরা জিতবে’, মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন খোদ ‘রাজ্য সরকার’]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার নিয়ে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও (Congress) নিশানা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বলছে, রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক, এই কথাটিই এখন জীর্ণ। এরাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, “কেন্দ্রে যে যখন সরকারে এসেছে, সে তখন রাজ্যপালের পদটিকে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক স্বার্থে। কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনকালেও কম মনিমাণিক্য ছড়িয়ে নেই।” বিজেপির বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে, ঠিক তখন রাজ্যপাল ইস্যুতে কংগ্রেসকে তৃণমূলের আক্রমণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।