অভিরূপ দাস: কলকাতা পুরসভায় (KMC) বসে বিজেপি নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলনের অভিযোগ। সেই সাংবাদিক সম্মেলন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি পুরপিতাদের বিরুদ্ধে। শনিবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষই। এর মাঝেই বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কাউন্সিলরের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে এদিন দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা পুরসভা।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল সিং বিজেপি নেতা। একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। তারই শাস্তিস্বরূপ সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ কলকাতা পুরসভা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এদিন সেই অভিযোগেই পুরসভার কাউন্সিলর রুমে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন সুনীল। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও। ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং সজল ঘোষ। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সুনীলের দাবি, ২০০৪ সালে ৭০ বছর পুরনো একটি বাড়ি কিনেছিলেন। একুশের ভোটের পর বটতলা থানায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপরই পুরসভা তাঁর বাড়ির নিচে থাকা দোকান ও গ্যারাজ ভেঙে দেয়।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ২৫০০ কোটির ঋণে পরিকাঠামোর উন্নয়ন, রপ্তানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে নবান্ন]
পুরসভার ভিতরে বিজেপি ক্যাডাররা সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। এই দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন মাঝপথেই থামিয়ে দেয় তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু, বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেই সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। অসীম বসুর দাবি, সজল ঘোষের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মারধর করেছে। এ প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় দাবি করেছেন, পুরসভার এই ফ্লোরে কাউন্সিলররা ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারে না। সেখানে বিজেপি ক্যাডার এনে সাংবাদিক সম্মেলন করছে। যা অনৈতিক।