ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোয়ায় নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন বাড়ছে কংগ্রেস (Congress) এবং তৃণমূলের দূরত্ব। এবার কংগ্রেসের তারকা প্রচারক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) কাঠগড়ায় তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, সোমবার গোয়ায় প্রচারে গিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার একদিনের সফরে গোয়া গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে ভারচুয়াল জনসভা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের একাধিক কর্মসূচি ছিল প্রিয়াঙ্কার। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, প্রচার চলাকালীন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তথা কংগ্রেস কর্মীরা কমিশনের বেঁধে দেওয়া করোনাবিধি মানেননি। প্রিয়াঙ্কার মুখে মাস্ক ছিল না। কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্বও ছিল না। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের ক্ষেত্রে কমিশন যে কর্মীসংখ্যা বেঁধে দিয়েছে, সেটাও মানেননি কংগ্রেস (Congress) নেত্রী।
[আরও পড়ুন: আর রাখঢাক নয়, সরাসরি বিজেপি সমর্থিত মেঘালয় সরকারে যোগ কংগ্রেসের সব বিধায়কের!]
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ অজ্ঞাতপরিচয় কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আগামী দিনে গোয়ায় প্রিয়াঙ্কার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক নির্বাচন কমিশন। সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে কংগ্রেসের স্বীকৃতি বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে এরাজ্যের শাসক দল।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া পড়ুয়াদের পালটা, ‘আল্লাহু আকবর’ সুর চড়ালেন মুসলিম ছাত্রী]
প্রসঙ্গত, সোমবার প্রিয়াঙ্কা গোয়ায় গিয়ে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টিকেও আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল বা আম আদমি পার্টির (AAP) মতো দল গোয়ায় সরকার গড়তে পারবে না, তাঁরা শুধু বিরোধী ভোট কাটছে। সম্ভবত সেকারণেই প্রিয়াঙ্কার উপর ক্ষুব্ধ ঘাসফুল শিবির। এবারের গোয়া নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেস রীতিমতো সম্মুখসমরে। কয়েক মাসে আগে গোয়ার মাটিতে পা রাখা তৃণমূল সেরাজ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। বস্তুত, গোয়া দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল যে কংগ্রেসকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়বে না, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল তৃণমূলের এই অভিযোগের ফলে।