অর্ণব আইচ ও দেবব্রত মণ্ডল: পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তির, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ। ভাঙড়ের (Bhangar) কাশীপুর থেকে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। এর পর তৃণমূল নেতাকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েতে নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) সময় আইএসএফকে মনোনয়ন দিতে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছিল ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেখানে এক আইএসএফ (ISF) কর্মী খুন হন। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) স্থানীয় থানায় আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। সেসবের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন ইয়ামি গৌতম, সাড়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! খুশিতে ডগমগ পরিচালক স্বামী]
এর পর পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল আসে। ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসে। ভাঙড় এলাকায় তিনটি থানা ছিল। তা সংযুক্তি, বিযুক্তির মধ্যে দিয়ে ভেঙে ৯টি থানা হয়েছে। সেই হিসেব অনুযায়ী উত্তর কাশীপুর থানা আরাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছিল। বৃহস্পতিবার সেই থানাই কাশীপুর থেকে আরাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে। লালবাজারে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে বলে খবর। ভাঙড়ের নেতা আরাবুলকে গ্রেপ্তারি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ”আরাবুলকে পুলিশ ধরেছে! লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে বিরিয়ানি খাওয়াতে। পরে ঠিক ছেড়ে দেবে।”