নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাজু ঝায়ের খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি! তাও আবার তৃণমূল নেতার গলায়। শনিবার এক জনসভা থেকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা গদাধর হাজরার প্রশ্ন, রাজু ঝা হত্যা মামলায় কেন সিবিআই তদন্ত দাবি করছে না বিজেপি? খুনের বিষয় দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীরা সব জানতেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
শক্তিগড় শুটআউট নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। প্রকাশ্যে ভরা বাজারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কোল মাফিয়া রাজু ঝা-কে্। কে বা কারা তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। বাংলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ঘটনা ঘটলেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়ে বিজেপি। আদালতে মামলা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটেনি। বরং রাজু ঝায়ের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছেন সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা। অথচ এই দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন রাজু। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সাংসদ অর্জুন সিং গেলেও কোনও বিজেপি নেতাকে যেতে দেখা যায়নি। আর বিজেপির এই চুপ থাকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গদাধর হাজরা।
[আরও পড়ুন: ভোগান্তির অবসান, প্রশাসনের চাপে পঞ্চম দিনে আন্দোলন তুলল কুড়মিরা]
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কথায়, পশ্চিমবঙ্গে কোনও কিছু ঘটলেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই চান। শক্তিগড়ে সরাসরি গুলি করে খুন করে দিয়ে চলে গেল আপনারা সিবিআই চাইলেন না কেন? সিবিআই চাইছেন না কেন? না কি বালির মধ্যে ভূত রয়েছে!” এরপরই তাঁর কটাক্ষ, এটা দিলীপ ঘোষও জানত, শুভেন্দু অধিকারীও জানত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বোলপুর সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, “যেখানে ইডি-সিবিআই তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। শুভেন্দু বা সুকান্তদা চাইতে যাবে কেন? আমরা এর পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই। রাজু ঝায়ের খুনে সিবিআই তদন্ত হোক আমরাও চাই।”