ধ্রবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে। কিন্তু হাতে পতাকা নেননি তিনি। তবে কী দলবদল করেছেন? নাকি এখনও বিজেপিতেই সুমন কাঞ্জিলাল? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টা খোলসা করেননি বিধায়ক। এবার এপ্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, “পতাকা আজ দেখেননি কাল দেখবেন।” দাবি করলেন, বিজেপির অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চায় বিজেপির ভাঙন। গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় নাকি যোগ দেবেন তৃণমূলে। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলেছিলেন খোদ বিধায়কই। এসবের মাঝে আচমকাই রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে। স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরীয় পরান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাঁর তৃণমূলে যোগের কথা। ক্ষোভ উগরে দেয় বিজেপি।
[আরও পড়ুন:বীরভূম বিস্ফোরণ: ‘দোষীদের ফাঁসি চাই’, মৃত TMC কর্মীর দেহ ফেলে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের]
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) টুইট করে সুমনবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়েছেন। কিন্তু দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা যায়নি সুমন কাঞ্জিলালকে। আদৌ দল বদলেছেন কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুপ সুমন কাঞ্জিলালের। তবে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ। তাঁর কথায়, “২ বছর ধরে আমি বিধায়ক। কিন্তু কোনও উন্নয়ন হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আমার এলাকার মানুষের সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষের কাজ করতে চাই।” এতেই স্পষ্ট, খাতায় কলমে তৃণমূলে যোগ না দিলেও আদতে ঘাসফুল শিবিরের হয়েই মানুষের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত সুমন।
যোগদান প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “একজন অতিথিকে স্বাগত নানাভাবে জানানো যেতে পরে। এটাকে আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার দরকার নেই। যেটা হওয়ার সেটা ঘটবেই। পতাকা আজ দেখেননি কাল দেখবেন।” এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, বিজেপির মোট ১৩ জন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এদের মধ্যে ৬ জন সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধাপে ধাপে তাঁদের দলে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭ টি আসন পেলেও দলবদলের কারণে তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৬৯ তে।