ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021)। তার আগেই তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক দলবদল করেছেন। ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। এবার এই দলত্যাগী বিধায়কদের শোকজ নোটিস পাঠাল তৃণমূল। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোট বারোজন বিধায়ককে শোকজের নোটিস পাঠিয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়নি।
ঠিক কী লেখা হয়েছে ওই শোকজ নোটিসে? বর্তমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী ১২ জন বিধায়কের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ওই নোটিসের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এছাড়াও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, “তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তারপরেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে যে সব মন্তব্য করছেন তাতে আপনার অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাই নৈতিকতার খাতিরে আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করুন।”
[আরও পড়ুন: আমফান মামলার অডিট করবে ক্যাগই, কলকাতা হাই কোর্টে খারিজ রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আরজি]
ভোটের মুখে জার্সি বদলে বিজেপিতে নাম লেখানো ১২ জন বিধায়ককে শোকজ নোটিস পাঠানো হলেও উত্তর মেলেনি। তবে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) একমাত্র শোকজের পালটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শোকজ নোটিসে পরিষদীয় প্রতীক না থাকায় বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মিহির। তিনি লেখেন, “পার্থবাবু একটি চিঠি পাঠিয়েছেন আমার অবস্থান জানার জন্য। আমার বিধায়ক পদের কী হবে, তাও জানতে চেয়েছেন। জবাবে জানিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বা চিঠির মাধ্যমে ইস্তফা চাইলে সেইদিনই দেব।” তৃণমূলের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং বামেদের অন্ততপক্ষে ১৯ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ সাংসদও হয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ওই ১৯ জনও কি পুরনো দলের বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন? তবে মিহির গোস্বামীর প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি তৃণমূল (TMC)।