কৃষ্ণকুমার দাস: বাগনানের শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল দল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশ বেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেই কুশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপর কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বাগনানে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবশেষে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশকে বহিষ্কার করল দল। উল্লেখ্য, বাগনান ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী কুশ বেরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খাদিনান মোড়ের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সে। সঙ্গে ছিল আরও একজন। ছাদ থেকে কলেজ ছাত্রীর আর্তনাদ শুনে দৌড়ে যান তাঁর মা। মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গেলে তৃণমূল নেতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁর। অভিযুক্তের এক ধাক্কায় সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যান কলেজ ছাত্রীর মা। মাথায় প্রচণ্ড চোট লাগে। তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মহিলার মৃত্যু হয়। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত কুশ।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীদের হাতে নিগৃহীত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী, নির্যাতিতার বাড়ি গেলেন অগ্নিমিত্রা]
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সরব হয় গেরুয়া শিবির। প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। অভিযুক্তের বিরু্দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ কুশ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতার বয়ানও নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: করোনার কোপে শেষবার দেখা হল না প্রিয় ‘তমাদা’কে, বিধায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ফলতা]
The post ‘শ্লীলতাহানি’র শাস্তি, দল থেকে বহিষ্কৃত বাগনানের তৃণমূল নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.