সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোট প্রচারে বেরিয়ে অতিমারীর (Corona Pandemic) নিয়ম ভেঙে তৃণমূলের নিশানায় দিলীপ ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তী। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) আগেই জানিয়ে দিয়েছে, জনসভায় পাঁচশোর বেশি মানুষ জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও মহাগুরুর দু’টি পৃথক সভায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ভিড় করেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বিশেষ করে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে মালদহের বৈষ্ণবনগরে মানুষের ঢল নামে। ফলে দুই নেতার বিরুদ্ধেই উঠেছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ।
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুসমণ্ডিতে এদিন সভা ছিল দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল বলেছে, সেখানে পাঁচশোর বেশি লোক নিয়ে সভা হয়েছে। যা কোভিড পর্বে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল। তাই দিলীপের সব প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। গতকাল কুমারগঞ্জে একইভাবে নির্বাচনী বিধি ভাঙেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের দাবি, এতে বহু লোকের জীবন বিপন্ন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
[আরও পড়ুন: এবার করোনার কবলে শতরূপ ঘোষ, কেমন আছেন কোভিড আক্রান্ত মদন মিত্র?]
এদিকে, শনিবার একই অভিযোগ উঠল মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মালদহের বৈষ্ণবনগরে পাঁচশোর বেশি মানুষ নিয়ে সভা করে বিধি ভেঙেছেন তিনি। মিঠুনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপির তারকা প্রচারকের সমস্ত সভার অনুমতি প্রত্যাহার করা হোক। বিজেপির বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করুন কমিশন। সৌগত রায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কমিশন বিজেপির কথায় চলে। তাই শকুনের দল এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। গোটা দেশ প্রাণপণ করোনা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। আর বিজেপি রাজনীতি করছে। সবই হচ্ছে মোদি-শাহের প্রশ্রয়ে।
এনিয়ে গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩টি অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই মিঠুনের সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে অলোক রাজোরিয়া জানান, আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার।