চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: জমি নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ভরতপুর। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে ভরতপুর থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। ভরতপুর থানার সামনে সরকারি জায়গা ঘিরছিল পুলিশ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিশকে জায়গা ঘিরতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সন্ধেয় ঘটনাস্থলে ভরতপুর বিধানসভার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আসেন এবং থানার সামনে কান্দি-কাটোয়া রাজ্য সড়ক তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। কান্দির এসডিপিও সাগর রানা জানিয়েছেন, “যে জায়গাটি নিয়ে বিতর্ক, তা সরকারের রেকর্ডে থানারই। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেছি। খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।”
[আরও পড়ুন: কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্র? জানতে পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি জেরা সিবিআইয়ের]
বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে থানায় একপ্রস্থ আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। থানার বাইরে বেরিয়ে এসে ভরতপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায়কে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওসি রাজু মুখোপাধ্যায় বিজেপির দালালি করছেন। আমরাও দেখব ওই জায়গায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হয় কিনা। ওই জায়গা সরকারিভাবে পুলিশের নামে রেকর্ড থাকলেও তা একটি নালা। এছাড়াও পাঁচ বছর ধরে ওখানেই অস্থায়ী পার্টি অফিস কীভাবে ছিল তার উত্তর পুলিশকে দিতে হবে।” এরপরই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। এবং এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
অভিযোগ, সরকারি জায়গাটি তৃণমূল নেতারা পার্টি অফিস করার জন্য জবরদখল করে। কিন্তু পুলিশের দাবি, জায়গাটি তাদের । এই ঘটনায় ভরতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রাজু মুখোপাধ্যায় এবং ভরতপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডা চলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা এবং তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় কান্দির সিআই জয়ন্ত শর্মা, কান্দির এসডিপিও সাগর রানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করারা চেষ্টা করেন। যদিও ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ওঠে অবরোধ।