অর্ণব দাস, বারাসত: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নয়া ভূমিকায় ‘কামারাহাটির দামাল ছেলে’ মদন মিত্র (Madan Mitra)। রীতিমতো চক-ডাস্টার হাতে শিক্ষকতা করলেন তিনি। দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শনে গিয়ে পড়ুয়াদের হাতেকলমে ভাষাশিক্ষা দিলেন বিধায়ক। তবে নিন্দুকেরা বলছেন, ভাষাশিক্ষার আড়ালে রাজনীতির পাঠদানও সেরে রাখলেন মদন মিত্র। সবমিলিয়ে এদিন ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)।
সোমবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। ওই এলাকায় ব্রিজের নিচে একটি স্কুল চলে। এদিন সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন মদন মিত্র। রীতিমতো শিক্ষকের মতো বোর্ডে লিখে লিখে পড়ুয়াদের ভাষা শিক্ষা দেন তিনি। কিন্তু সেই পাঠদানের সঙ্গে যুক্ত ছিল তীব্র রাজনৈতিক শ্লেষ।
[আরও পড়ুন: আনিসকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তে SIT গঠনের নির্দেশ, ‘দোষী হলে আমিও শাস্তি পাব’, বললেন মমতা]
দেখা যায়, এদিন খুদেদের পড়ানোর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) তীব্র শ্লেষ করেন মদন। এদিন পড়ুয়াদের পদ্ম, কার্যকর, মণ্ডল শব্দের অর্থ ও ব্যবহার শেখান কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর কথায়, “পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। কিন্তু সেই উচ্চারণ করতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেন। আমাদের পড়ুয়ারা যাতে তা না শেখে সেই ব্যবস্থা করলাম।” একইসঙ্গে মণ্ডল আর কার্যকর শব্দের কীভাবে ভুল ব্যবহার করছে বিজেপি তাও তুলে ধরেন মদন মিত্র। উদ্ধৃত করেন বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানও।
এদিন কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “বিজেপি বাংলা শব্দের ভুল ব্যবহার করছে। ভুল উচ্চারণ করছে। আমাদের পড়ুয়ারা যাতে তা না শেখে, এদিন সেই ব্যবস্থাই করলাম।” উল্লেখ্য, চলতি মাসে কামারহাটি পুরসভায় নির্বাচন। তার আগে প্রার্থীদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া এবং পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হিসেবেই গণ্য করছেন অনেকে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়েছেন বিধায়ক।
এবিষয়ে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা নেতৃত্ব জয় সাহা বলেন, “পড়ুয়াদের ক্লাস নিয়ে অভিভাবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে তিনি নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করেছেন। আর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে আমাদের রাজনৈতিক দলের নাম করে তিনি কটাক্ষ করেছেন। তিনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে শিশু মনেই রাজনীতি ঢোকাচ্ছেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়। নির্বাচন বিধি ভঙ্গ নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”