সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্জুন সিংয়ের পর মদন মিত্র। এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। প্রসঙ্গ গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে কুড়মি বিক্ষোভ।
শনিবার বারাসতের রবীন্দ্রভবনে একটি স্মরণসভায় যোগ দেন মদন মিত্র। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, “পুলিশের মধ্যে কোথাও কোথাও সমন্বয়ের অভাব ছিল। পুলিশের গাফিলতির থেকে বড় প্রশ্ন হল সরকারি ক্ষমতায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেই সরকারি সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস প্রায়ই অভিযোগ করছে সরকারি সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বিরোধীরা দাবি করে বোমা, গুলি মজুত করে রেখেছে শাসকদল। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি থাকাকালীন হামলার ঘটনার পর এটা প্রমাণিত আসলে বোমা, বারুদ লুকিয়ে রেখেছিল বিরোধীরাই। পুলিশ সেগুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পুলিশকে সমস্ত কিছু দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তারপরেও এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে তা পুলিশই ভাল বলতে পারবে।”
[আরও পড়ুন: ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারই মৃত্যুফাঁদ! গলসিতে প্রাণ গেল শিশুর]
জামাইষষ্ঠীর সন্ধেয় বারাকপুরে সোনার দোকানে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলে পুলিশের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কামারহাটির মদন মিত্র এই বিষয়ে অর্জুনের সঙ্গে কার্যত সহমত পোষণ করেন। বলেন, “আগে কিছু হলেই আমরা বলতাম, অর্জুন সিং আর বিজেপি গুলি চালাচ্ছে, গণ্ডগোল করছে। কিন্তু এখন তো অর্জুন সিং আমাদের সঙ্গে। ফলে এই মুহূর্তে, অর্জুন সিং গুলি চালাচ্ছে, বা অর্জুন সিং গণ্ডগোল পাকাচ্ছে এটা তো আমি বলতে পারছি না। বললে তো থুতু আমার গায়েই পড়বে। কারণ, আমার দল তাঁকে গ্রহণ করেছে। আমি অর্জুন সিংয়ের কথা একেবারে ফেলে দিতে পারছি না। অর্জুন সিং একটা কথা বললে সেটির বিরোধিতা করার ক্ষমতা বা অধিকার আমার নেই। কারণ আমি মুখপাত্রও নই, সাংসদও নই। ” উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একবার বোমা ফাটালেন তিনি।