জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: তৃণমূলের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে খেলার মাঠ পাট্টা করে নেওয়ার অভিযোগ। মাঠ ফেরতের দাবিতে ‘দিদির দূত’ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়ায় গোপালনগর থানা এলাকায়। পরে বিধায়ক SDO-কে ফোন করে খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাতেই শান্ত হয় উত্তেজিত জনতা।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতেই রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ হিসেবে যান বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। জানা গিয়েছে, শান্তিনগরে যাবার পথে এলাকার মহিলারা বিশ্বজিৎ দাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের দাবি ছিল, ফিরিয়ে দিতে হবে মাঠ। স্লোগান ওঠে, “প্রজেক্ট চাই না মাঠ চাই।” কেউ বিশ্বজিৎ দাসের পা জড়িয়ে ধরেন। সাধারণ মানুষের কথা শুনে বনগাঁর এসডিওকে ফোন করে ৩৭ শতক জায়গা অর্থাৎ উপরিউক্ত খেলার মাঠের যাতে কোনও পাট্টা না হয় এবং মাঠ হিসাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেই অনুরোধ জানান। ফোনে কথোপকথন শেষ হতেই সাধারণ মানুষ হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জানান বিধায়ককে।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গের ছেলে বলে এত আক্রোশ!’, হামলা নিয়ে সরকারকে তোপ নিশীথের, বাড়ল নিরাপত্তা]
এবিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “৩৭ শতক জায়গা ফাঁকা ছিল। মানুষের দাবি সেই জায়গায় একটি মন্দির আছে এবং মাঠ হিসাবে সাধারণ মানুষ চাইছে। সাধারণ মানুষের দাবি মতো আমি এসডিওকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।” তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি প্রধান নিজের নামে পাট্টা করে নেয় তাহলে দলীয়ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”