সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্নের প্রকল্প, প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে রাজ্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর কার্যত বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ঘাটালের তিনবারের সাংসদ দেব। বুধবার বাজেটের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''আজ খুব আনন্দ হচ্ছে। স্বপ্নপূরণ হল বলে মনে হচ্ছে। আমি সেই ২০১৪ সাল থেকে এর জন্য লড়াই করে আসছি। ঘাটালের বন্যা নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি ছিল। অনেকরকম প্ল্যান তৈরি হয়েছে, কিন্তু কিছু কাজ হয়নি। তবে দিদি বলেছিলেন, কাজটা রাজ্য সরকার করবে। আজ অর্থ বরাদ্দ ঘোষণা হল। খুব ভালো লাগছে।''
আসলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে দেবের রাজনৈতিক জীবনের যোগ অত্যন্ত নিবিড়। ২০১৪ সালে প্রথমবার ঘাটাল থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েই তিনি বুঝেছিলেন, এখানকার মূল সমস্যা বন্যা। বর্ষায় সামান্য বেশি বৃষ্টি হলেই বানভাসি হয় ঘাটাল। শিলাবতী, কাঁসাই নদীর জল উপচে দুকুল ভাসিয়ে দেয়। নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। প্রতি মরশুমে এটাই তাঁদের নিত্যসঙ্গী। আর সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন, তা বুঝেছিলেন তারকা দেব। তাই প্রথমবার সাংসদ হয়ে তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য লোকসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন। তবে এনিয়ে কেন্দ্রের তরফে বারবার উদাসীনতাই মিলেছে।
২০২৪ সালে ঘাটাল থেকে আর ভোটে দাঁড়াতে চাননি দেব। ১০ বছর ধরে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে একচুল কাজ এগোতে না পারার গ্লানি ছিল সাংসদের। সেকথা তিনি জানান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এরপরই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘাটালবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য কেন্দ্রের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকারই করে দেবে। এরপরই দেব ফের ঘাটাল থেকে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জিতে এসেছেন এবং হাত দিয়েছেন মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কাজে।
বুধবার রাজ্য বাজেটে ওই প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায় দেবের প্রতিক্রিয়া, ''আমি বারবার সংসদে বলেছি এটা নিয়ে। এটা ঘাটালের মানুষের খুব বড় সমস্যা। কেন্দ্রের সরকার শুধু ঠেলাঠেলি করেছে। কিছু কাজ হয়নি। আমি ২০২৪ সালে ভোটে আর দাঁড়াতে চাইনি। কারণ মনে হচ্ছিল, বারবার মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া আর ভালো লাগছিল না। কিন্তু দিদি আমাকে বললেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা রাজ্যই করে দেবে। আজ খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, স্বপ্নপূরণ হল আজ।''
