রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ফের সংঘাতে জড়াল রাজ্য। এবার নিরাপত্তা নিয়ে শুরু দ্বৈরথ। কেন্দ্রীয় সরকার সদ্যই তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। দিব্যেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, রাজ্য সরকার অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়েছে। এমনকি বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর জন্যে বরাদ্দ বুলেট প্রুফ গাড়িও তুলে নেওয়া হয়। যদিও জেলা পুলিশের দাবি দুই সাংসদের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশও থাকছে। তবে যারা আগে ছিল তাদের পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়ে দলবদল করেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দাদার হাত ধরে সৌমেন্দু অধিকারীও নাম লেখান বিজেপিতে। ভোট প্রচারে শিশির অধিকারীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভায় দেখা যায়। তবে তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তোলেননি। এদিকে দিব্যেন্দু অধিকারীকে বিজেপির কোনও সভায় দেখতে পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, দু’জনের সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে অনেকখানি। সাংগঠনিক একাধিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, তাঁদের দু’জনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কিছুটা ঢিলেঢালা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারীদের সুরক্ষিত রাখতে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয় বলে জানানো হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় রাজ্যের যেমন নিরাপত্তা ছিল তেমনই থাকবে। শুক্রবার রাতেই বিজ্ঞপ্তিটি কাঁথিতে এসে পৌঁছায়।
[আরও পড়ুন: সোনালি গুহর পর ‘ঘর ওয়াপসি’র ইচ্ছা মালদহের সরলা মুর্মুর, দলের কাছে জানালেন আবেদন]
তবে শনিবার সকালে রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari)। তাঁর দাবি,কেন্দ্র সরকারের কাছে কোনও আবেদন করা হয়নি। তারা মনে করেছে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। কিন্তু কোনও নোটিস ছাড়াই রাজ্য সরকার নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। যাতে কোনরকম নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তার ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার কথাও ভাবছেন দিব্যেন্দু। জেলা পুলিশ সুপার জানান, দুই সাংসদের রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা যেমন ছিল তেমনই আছে তবে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে।