সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসক শিবিরের নেতামন্ত্রীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বরাবরই শিরোনামে। আর এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করে বসলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলেই উঠেছে সমালোচনার সুর। টুইটে বিজেপি নেতা তথা সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
দিনকয়েক আগে একটি সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বক্তৃতা দেওয়ার সময় রাজ্য সরকারকে দুষছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। কথা বলার সময় রীতিমতো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে গালিগালাজও করে বসেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়া হুমকির সুরে ‘বেশি বাড়াবাড়ি না করার’ বার্তাও দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা নতুন নয়। তা লেগেই থাকে। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আক্রমণের ঝাঁজ। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে গালিগালাজ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার সুর। কীভাবে একজন সাংসদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে এহেন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। টুইটে দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছেন যাদবপুরের তারকা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও (Mimi Chakraborty)। বিজেপি রাজ্য সভাপতি কী শালীনতার সীমা ছাড়ানোর অভ্যাস শুরু করলেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
যদিও মিমির টুইটের আগেই কুকথা প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন দিলীপ ঘোষ। কেন তিনি এমন মন্তব্য করেন তার ব্যাখ্যা দেন। শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা মিথ্যে বললে তিনি কুকথা বলতে বাধ্য হন বলেও জানান।
[আরও পড়ুন: এলাকায় ফিরছেন সুশান্ত ঘোষ, পার্টি আড়াআড়ি ভাগ হওয়ার আশঙ্কা]
এদিকে, দিঘায় (Digha) প্রাতঃভ্রমণের পর চায়ে পে চর্চায় দিলীপ ঘোষ। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ নম্বর ব্লকের দিঘা মোহনা থেকে ওল্ড দিঘা পযর্ন্ত প্রাতঃভ্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খান খেজুর রস। ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকতের পাশে চায়ে পে চর্চায় বসেন। দিঘায় বেড়াতে আসা খুদে পর্যটকদের সঙ্গে খুনসুটি করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা।