ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথমে অনীহা, তার পর ঘাটালের তিন প্রশাসনিক পদ থেকে তারকা সাংসদ দেবের(Dev) ইস্তফা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রার্থী হতে রাজি হওয়া – ধারাবাহিক এসব ঘটনার পর রবিবার দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ঘাটালে বড়সড় রদবদল ঘটাল তৃণমূল (TMC)। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শংকর দলুইকে সরিয়ে দিল দল। তাঁর বদলে নতুন পদে এলেন রাধাকান্ত মাইতি। মনে করা হচ্ছে, ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের সঙ্গে শংকর দলুইয়ের লাগাতার দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে অপসারিত হতে হল।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘাটালে (Ghatal) তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বর সঙ্গে দেবের দূরত্ব বাড়ছিল। তা নিয়ে সাংসদের ক্ষোভও ছিল। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেখানকার কয়েকজন নেতার আচরণে ক্ষুব্ধ দেব এবার আর ঘাটালের প্রার্থী হতে চান না। তবে দীর্ঘসময় এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি তারকা সাংসদ। বিষয়টি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নজরে আসতেই তিনি গত মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বকে কালীঘাটে ডেকে বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দেন, দেব শিল্পী, ভালো ছেলে। কাজ করছেন অনেক। তাঁকে যেন ‘বিরক্ত’ করা না হয়। নাম না করেও নেত্রী শংকর দলুই-সহ কয়েকজন নেতাকেই বার্তা দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘জাতির জনক…লাভ ইউ শাহজাহান’, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল TMC নেতার অনুগামীদের গান]
এসবের পরও অবশ্য সেখানকার পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি। গত সপ্তাহে ঘাটালেন তিন প্রশাসনিক পদ থেকে দেবের ইস্তফা তারই প্রমাণ। সংসদের শেষ অধিবেশনে দিল্লি গিয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। এর পর তাঁকে তলব করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর দেব চলে যান কালীঘাটে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে। তাতেই জট কাটে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে রাজি দেব। আর তার ঠিক পরদিনই ঘাটাল থেকে শংকর দলুইকে সরিয়ে দিল দল।