ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: স্বচ্ছতায় সামান্য দাগ পড়লেও জনপ্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রার্থী হওয়া যাবে না। বারবার দলকে এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর তা নজরে রেখেই জেলা সংগঠনগুলিতে আমুল বদল করা হচ্ছে। জেলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগও উঠেছে, তাঁরাই বাদ পড়ছেন। নতুন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতাকেই তুলে আনা হচ্ছে তাঁর জায়গায়। এবার নদিয়া এবং কোচবিহারের জেলা সংগঠন সাজাতে গিয়েও সেদিকেই বাড়তি নজর দিল তৃণমূল (TMC)। জেলার যুব, মহিলা সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল এনে প্রকাশ করা হল নতুন তালিকা। পরিবর্তন এল দায়িত্বের নিরিখেও।
কোচবিহার (Cooch Behar) এবং নদিয়া উত্তর (Nadia North) – শনিবার এই দুই সাংগঠনিক জেলা নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে শাসকদল। ব্লক, টাউন স্তরে বদলের পাশাপাশি জেলার শ্রমিক সংগঠনগুলিতেও বদল আনা হয়েছে। কোচবিহারের মোট ২২ টি ব্লক, টাউনে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কারা থাকছেন, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে পদাধিকারীদের নাম।
[আরও পড়ুন: ‘দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই থাকব’, তৃণমূলকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পার্থর]
অন্যদিকে, দলীয় কাজের সুবিধার্থে নদিয়া জেলায় বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক ভাগ রয়েছে তৃণমূলের। নদিয়া উত্তর তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলাতেও রদবদল করা হয়েছে এদিন। শুধু কৃষ্ণনগরেরই ৪টি ব্লক-সহ গোটা জেলার ১২ টি ব্লক ও টাউনের সভাপতি, সহ-সভাপতির নাম নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি জেলা সংগঠনের অন্য কোনও পদে থাকতে পারবেন না। সেই কারণে নতুন অনেকের উপরই দায়িত্ব বর্তেছে। সেই তালিকাও টুইট করে প্রকাশ করা হয়েছে।
আসলে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayet Election)। রাজ্যের শাসকদলের কাছে জনমন বোঝার সুবর্ণ সুযোগ। বিশেষত সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে, যেখানে দলের হেভিওয়েট নেতারা যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে ভাবমূর্তি বেশ খানিকটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। আর তা পুনরুদ্ধার করতে জেলা একেবারে তৃণমূল স্তরের সংগঠন থেকে স্বচ্ছতায় জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। আর তা মাথায় রেখেই এহেন রদবদল।