সুদীপ রায়চৌধুরী: কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে ঘিরে কি বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল? ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে? পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট গেল অমিত শাহের (Amit Shah) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। মঙ্গলবার রাতেই কেশব ভবনের (Keshav Bhawan) ওই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় শাহী দপ্তর। সেই মতো গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে বলে খবর।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সাপ্তাহিক পত্রিকা স্বস্তিকার ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরে এসেছেন এসেছিলেন মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার বেলুড় মঠে স্বস্তিকা পত্রিকার হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। রাতে কেশব ভবনে এক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মাঝে বঙ্গে থাবা কালাজ্বরের, প্রাণহানিতে বাড়ছে উদ্বেগ]
ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময় রাজধানীতে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে আটক হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা। সূত্রের দাবি, সেসময় ভাগবতের উপস্থিতিতেই কেশব ভবনের সামনে জড়ো হন তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। দিল্লিতে নেতাদের হেনস্তা ও আটক করার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। দ্রুত স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে, আজ থেকেই রাজভবনের সামনে লাগাতার ধরনায় তৃণমূল]
মোহন ভাগবত এই মুহূর্তে দেশের ভিভিআইপিদের অন্যতম। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পান তিনি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর এই খবর স্বাভাবিক ভাবেই দ্রুত পৌঁছয় কলকাতায় কর্মরত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। তাঁরা বিষয়টি দ্রুত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত ওই বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেয় দিল্লি। নির্দেশ পাওয়ার পর রাতেই গোয়েন্দা দপ্তরের কয়েকজন কর্মী কেশব ভবনে যান। সংঘের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। তার পর সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বলে খবর।