সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Assembly Election) একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কংগ্রেস সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস (Congress)। আর বিজেপির এই ফলাফল ‘শেষের শুরু’ বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার কালীঘাটে নিজের বাড়ির সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দুর্বিষহ ব্যবহার। কর্ণাটকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বিজেপিকে। এটাই তো শেষের শুরু। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে একটা ইঙ্গিত। এরপর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের নির্বাচনেও হারবে।”
গত ১০ মে কর্ণাটকে নির্বাচন হয়েছে। শনিবার ফলপ্রকাশের দিন প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। দিনশেষে দেখা গেল, ২২৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের প্রাপ্তি ১৩৬। বিজেপি (BJP)অনেক পিছিয়ে, দু অঙ্কও পেরতে পারেনি। অর্থাৎ দক্ষিণ ভারতে কেন্দ্রের শাসকদলের কোনও আধিপত্যই রইল না। একমাত্র রাজ্যটির ক্ষমতাও হাতছাড়া হল। কর্ণাটকের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান সিদ্দারামাইয়া, যিনি আগেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ‘ভাইজান’, বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সলমনকে স্বাগত জানালেন মমতা]
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এহেন ফলাফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বিরোধী শিবির। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের তরফে অনেকেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী নিজেও টুইট করে প্রাথমিকভাবে কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলে জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। আর বিকেলে নিজের বাড়ির সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তাঁর কথায়, ”বিজেপির কোনও ইমেজ নেই। যতই বড বড় কথা বলুক, সেজেগুজে মঞ্চে উঠে, ইমেজ বলে কিছু নেই। তাই তো এমন ফলাফল। কুমারস্বামীরাও ভাল কাজ করেছে ওখানে। তবে এই জয় মানুষেরই। চব্বিশের আগে এ এক তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত।”
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে জনতার রায়ে হারলেন হিজাব নিষেধাজ্ঞার মুখ, হাল খারাপ দলবদলুদেরও]
উল্লেখ্য, কর্ণাটক ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘নো ভোট টু স্লোগান’ তুলেছিলেন। পাশাপাশি দক্ষিণের সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী রাজ্যগুলির শাসকদলের সঙ্গেও তাঁর ভাল যোগাযোগ ছিল। উনিশের আগে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে তিনি দক্ষিণ ভারতে গিয়েওছিলেন। এসবেরই প্রতিফলন কর্ণাটকের ফলাফল বলে তিনি মনে করছেন।