সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪। কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) শাসিত সরকারকে হঠানোর সেই লক্ষ্যে রণকৌশল আরও শক্তপোক্ত করার পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেল বিরোধী শিবির। শুক্রবার বহু প্রতীক্ষীত বৈঠক সেরে ফেলল ১৯ বিরোধী দল। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) ডাকে এদিন বিকেলে ভারচুয়াল বৈঠকে করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অবিজেপি নেতৃত্বের শীর্ষ নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীরা। সেখানে প্রত্যাশামতোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপিকে রুখতে বিরোধীদের নিয়ে কোর গ্রুপ তৈরির প্রস্তাব দিলেন তিনি।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের পথে আরেকধাপ এগোনোর প্রতিশ্রুতি নিলেন বিরোধী নেতারা। বৈঠকে ছিলেন শিব সেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তবে গরহাজির ছিলেন এসপি ও বিএসপি নেতৃত্ব। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে মমতার পাশাপাশি ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
[আরও পড়ুন: দেরাদূনের সেনা অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষিত ‘শেরু’ই এখন শীর্ষ তালিবান নেতা! বিশ্বাসই হচ্ছে না সতীর্থদের]
২০ আগস্ট বিকেল চারটে ছিল নির্ধারিত সময়। খানিকটা দেরিতে শুরু হয় সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ভারচুয়াল বৈঠক (Virtual meeting)। অখিলেশের এসপি ও মায়াবতীর বিএসপি ছাড়া তাঁর আহ্বানে সাড়া দিলেন প্রতিটি বিরোধী দল। এমনকী সিপিএম (CPM)। সোনিয়া নিজে কেন্দ্রের একাধিক আপত্তিজনক পদক্ষেপ তুলে আলোচনা করেন। সংসদের বাদল অধিবেশনে আলোচনা ছাড়াই এত বিল পাশ হওয়া, পেগাসাস কিংবা কৃষি আইন নিয়ে একেবারে নীরব থাকা – এসবের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলন গড়ে তুলতে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন। এদিনের বৈঠকে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের দুই নেতা – ফারুক আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি।তাঁদের সামনে রেখে সোনিয়া কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা ফেরানোর জন্যও কেন্দ্রের উপর চাপ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
[আরও পড়ুন: ‘সস্তায় পেট্রল চাইলে Taliban-এর কাছে যান’, বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতার]
ভারচুয়াল বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন, বিরোধী দলগুলির পৃথক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের মধ্যেকার ছোটখাটো বিরোধিতা ভুলে ঐক্যবদ্ধ জোট করতেই হবে, যা পুরোপুরি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। সংসদের বাইরে ও ভিতরে একত্রে চলুক আন্দোলন। এছাড়াও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁর প্রস্তাব, গরিব পরিবারগুলিকে মাসে ৭৫০০ টাকা দেওয়া হোক, এই দাবিতে কেন্দ্রকে চাপ দিক বিরোধীরা। এছাড়াও সকলের জন্য করোনা টিকা, কৃষি আইন বাতিল, পেট্রোপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে যৌথ আন্দোলনের স্ট্র্যাটেজি আলোচনা হয়েছে।