ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আম আদমি থেকে রাজনৈতিক নেতানেত্রীরাও। হামলার পর থেকেই গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে মোমবাতি মিছিল, শোকপ্রকাশ। পা মিলিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও। আজ বিকেলে পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে দলের তরফে। তৃণমূল সূত্রের খবর, মিছিলে উপস্থিত থাকবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলাবেন তিনিও। বিকেল চারটে নাগাদ মিছিল শুরু হতে চলেছে। হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা, শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
[কলকাতায় ছড়িয়ে জইশের জাল! কোথায় গেল শিয়ালদহের ‘চাচা’?]
বৃহস্পতিবার উপত্যকা রক্তাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নিজে সবকটি রাজনৈতিক দলের কাছে আরজি জানিয়েছিলেন, মতবিরোধ ভুলে দেশের এমন কঠিন সময়ে একসঙ্গে জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা নেওয়ার। তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস৷ মোদির বার্তার পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন অন্য কোনও বিষয়ে এখন কথা বলব না৷ এই চরম পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের পাশে আছি৷’ একইসঙ্গে রাহুল গান্ধী অন্যান্য বিরোধীদেরও একই আহ্বান জানিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিল তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের তরফে পুরো ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী নিজেও পুরো ঘটনার নিন্দা করেছেন। এরপরই তৃণমূলের তরফে এই মিছিলের কথা ঘোষণা করা হয়।
[‘নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামলার খবর পাননি?’ নাম না করে ডোভালকে বিঁধলেন মমতা]
উল্লেখ্য, পুরো ঘটনার নিন্দা করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ভূমিকা নিয়েও। তিনি গতকালই গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘হামলার নেপথ্যে কারা, তদন্ত করে দেখা উচিত। মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা কী করছিলেন? এত বড় হামলার খবর পাননি?’ তবে, সেই সঙ্গে মমতা এও জানিয়ে দেন, সেনার মনোবল যাতে কোনওভাবে ভেঙে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে।