সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিলেও তার মধ্যে ৭ বারের পরীক্ষাকে গ্রাহ্য না করার আরজি জানালেন ইউপিএসসি বিতর্কে নাম জড়ানো পূজা খেদকার। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে তিনি জানালেন, 'আমি ৪৭ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কোটায় আমি যে পরীক্ষা দিয়েছি সেটাই ধরা হোক।'
ইউপিএসসি পরীক্ষায় বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগের পাশাপাশি নাম বদলে একাধিক পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে প্রার্থীপদ খারিজ করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউপিএসসির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পূজা। বেআইনিভাবে একাধিকবার পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগকে খণ্ডন করে আদালতে তিনি বলেন, তিনি মোট ১২ বার পরীক্ষা দিয়েছেন তার মধ্যে ৭ বার জেনারেল কোটায় পরীক্ষা দেন এবং ৫ বার প্রতিবন্ধী কোটায়। ফলে ওই ৭ বার বাদ দিয়ে ৫ বারের পরীক্ষাকে ধরা হোক। এমনকী নিজের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র ভুয়ো নয় বলেও দাবি করেন বিতর্কিত পূজা।
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যার হার! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
নিয়ম অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হলে পরীক্ষার্থী প্রতিবন্ধী কোটার আওতাধীন হন। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের এক হাসপাতালের সার্টিফিকেট আদালতে পেশ করে তিনি জানান, তিনি ৪৭ শতাংশ প্রতিবন্ধী। শুধু তাই নয়, নিয়ম অনুযায়ী জেনারেল কোটায় ৯ বার এবং প্রতিবন্ধী কোটায় ৬ বার পরীক্ষা দেওয়া যায়। ফলে পূজার দাবি তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি। আদালতে তিনি আরজি জানান, এই পরিস্থিতিতে ইউপিএসসির তরফে তাঁর প্রার্থীপদ খারিজ বেআইনি। এবং আদালতে প্রার্থীপদ ফেরানোর আবেদন জানান পূজা।
[আরও পড়ুন: ৪৮ বছরে প্রথমবার! আরব সাগর থেকে ধেয়ে আসছে দানব ‘আসনা’, প্রমাদ গুনছে দেশ]
পাশাপাশি এদিন দিল্লি হাইকোর্টে পূজার সুরক্ষা কবচের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত। এদিন আদালতে দিল্লি পুলিশ ও ইউপিএসসি আবেদন জানায় পূজার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক। যদিও সরকার পক্ষের সে আবেদনের কোনও যুক্তি নেই বলে জানায় আদালত।