সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেটাই এবার নয়া মোড় নিল। এক গুপ্ত হামলায় হামলার হামাস প্রধান ইসমায়েল হানিয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইরানের তেহরানে তাঁর বাড়িতে হামলা চলে। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইসমাইল ও তাঁর এক দেহরক্ষীর। হামাসের দাবি, ইজরায়েলই এই হামলা চালিয়েছে।
হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কর্পসের তরফে এই বিষয়ে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের তেহরানে হামাস প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায় 'জিওনিস্টরা'। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইসমাইল ও তাঁর এক দেহরক্ষীর। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে হামাস। ইরানের তরফে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে তারা। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মাঝেই এই হত্যাকাণ্ডে শোরগোল শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, ইসমাইলের মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খাবে হামাস।
[আরও পড়ুন: রোজ লেট! যাত্রী বিক্ষোভে ব্যাহত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল]
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। ভয়াবহ সেই জঙ্গি হামলার পর হামাসের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল খতম করা হামাস প্রধানকে। এক বছরেরও বেশি সময় পর মৃত্যু হল ইসমাইলের। উল্লেখ্য, এতদিন কাতারে থেকে হামাসের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত এই ব্যক্তি। গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলেও ইরানে বহাল তবিয়তে ছিলেন ইসমায়েল। ইরানের নয়া প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও ইরানের আয়াতোল্লার সঙ্গে দেখাও করেন ইসমায়েল। এর পরই চলে এই হত্যাকাণ্ড।
[আরও পড়ুন: ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানড়! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৬, এখনও নিখোঁজ বহু]
এদিকে, এই হামলার পর ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। ইজরায়েলি মিলিটারির মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, বড়সড় কোনও যুদ্ধ ছাড়াই এই জটিল পরিস্থিতির যাতে সমাধান হয়, সেটাই চায় ইজরায়েল।