চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ পর্যটন এড়াতে নৌবিহারে চাপানো হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। অন্যদিকে পর্যটনস্থলের উন্নয়ন তহবিল বাড়াতে পর্যটকদের গাড়ি থেকে আদায় হয়েছে অতি উচ্চদরে টোলট্যাক্স। অভিযোগ, এই দুইয়ের বজ্রআটুনিতে এবার তেমন জমলো না মাইথনের পর্যটন ব্যবসা। ফলে মরশুমের শেষ রবিবার পেরিয়ে যাওয়ার পর হতাশ নৌচালকরা। হতাশ হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও।
[পর্যটন মানচিত্রে নয়া গন্তব্য ড্যানি-তনুজার ‘লালকুঠি’]
শীত পড়তেই মাইথনে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। মাইথনে শুধু দূরের পর্যটকেরাই ভিড় জমান, এমন নয়। শহর লাগোয়া বাংলা-ঝাড়খন্ডের বাসিন্দারাও নিয়মিত সময় কাটাতে আসেন। মাইথনে নৌকাবিহার পর্যটকদের কাছে খুব প্রিয়। পর্যটকরা নৌকায় চেপে দ্বীপগুলিতে বেড়াতে যান। ডিসেম্বর মাস শুরু থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত চলে পর্যটকদের আনোগোনা। কিন্তু এবার সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি মাইথন ড্যামে পিকনিকের জন্য আসা গাড়িগুলি থেকে টোলট্যাক্স আদায় শুরু করেছে। বড় বাসের জন্য ২০০টাকা, মিনিবাসের জন্য ১৫০ টাকা ও ছোটগাড়ির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা এই টোলট্যাক্স আদায়ে অখুশী হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মাইথন ঢুকতে এতগুলি টাকা নেওয়া হল কিন্তু পিকনিক স্পটে না ছিল পানীয় জলের ঠিকঠাক ব্যবস্থা, না ছিল শৌচালয়। এমনকী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিল না ট্যুরিষ্ট স্পটও। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে ডিজে ও মদ্যপান নিষিদ্ধ। যদিও মহিলা পর্যটকরা ডিজে ও মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ায় খুশি হয়েছেন। কিন্তু ঝাড়খন্ড থেকে মাইকবক্স নিয়ে আসা বহু গাড়ি প্রায়দিন ঘুরে গেছেন।
ব্লক প্রশাসনের দাবি, পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্যই টাকা নেওয়া হয়েছে। গতবারও ফি আদায় করা হয়েছিল। সালানপুরের বিডিও তপন সরকার বলেন, টেন্ডার করেই একটি সংস্থাকে পার্কিং ফি আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা পর্যটনকেন্দ্র পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখবে। এছাড়া ওই পর্যটনকেন্দ্রে উন্নয়নও করা হবে। ইতিমধ্যে শৌচালয় করা হয়েছে। একটি ইকো পার্ক তৈরি করা হয়েছে। যদিও মাইথনের উন্নয়ন নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
[ এবার মাত্র ৪০০ টাকায় ঘুরুন গোয়া, সৌজন্যে IRCTC]
The post নিয়মের কড়াকড়ি, এবছর শীতে মাইথন থেকে মুখ ফেরালেন পর্যটকরা appeared first on Sangbad Pratidin.