অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিফল হলেও হতাশ হয়নি। বরং অদম্য জেদ, কঠোর অধ্যাবসায়ে অবশেষে এক মিনিটে ৮৫ টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরি করে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করলেন ব্রতজিৎ সরকার। তাঁর এই স্বীকৃতির খবর জানাজানি হতেই কাঁকিনাড়ার কেউটিয়ায় নেমে এসেছে খুশির জোয়ার। বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করছে প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় সকলে।
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকিনাড়ার কেউটিয়ার বাসিন্দা ব্রতজিৎ স্নাতক পাস করে পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। তবে ছোটবেলা থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল বাংলার একটি রিয়েলিটি শোতে যোগ দেওয়ার। বিশেষ যোগ্যতা থাকলেই সেই শো-তে সুযোগ পাওয়া যায়। বছর তিনেক আগে ব্রতজিৎ দেখে সেই রিয়েলিটি শো-তে একজন কয়েন টাওয়ার তৈরি করে লিমকা বুকে নাম তুলে ওই রিয়েলিটি শোয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এরপর থেকেই কয়েন টাওয়ার তৈরির প্রতি তাঁর ঝোঁক তৈরি হয়। খবর নিয়ে জানতে পারে, এক মিনিটে ৬৫টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরির গিনেস ওয়ার্ড রেকর্ড রয়েছে। তখন থেকেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করার জেদ চাপে ব্রতজিতের।
[আরও পড়ুন: এবার বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে মুখ খুললেন উদয়ন গুহ, উপাচার্যকে ‘মোদির চাকর’ বলে কটাক্ষ]
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। সন্ধে সাড়ে ছ’টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত নিয়মিত অভ্যাস শুরু করে সে। শুরুর দিকে এক মিনিটে ৩০ টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরি করতে পারত ব্রতজিৎ। নিয়মিত অভ্যাসে তা বেড়ে ৮০টি পর্যন্ত হয়ে যায়। তখনই এক মিনিট ৮০টি কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরির ভিডিও গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। কিন্তু, সেটা রিজেক্ট করে দেওয়া হয়। তারপর হতাশ না হয়ে বরং আরও কঠোরভাবে অভ্যাস শুরু করে দেয়। এবার কয়েনের সংখ্যা বেড়ে ৮৫টি দিয়ে টাওয়ার তৈরির ভিডিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। অবশেষে চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি পান কাঁকিনাড়ার যুবক।
এদিন ব্রতজিৎ বলেন, “ক্লাস সিক্স থেকে বাংলার একটি রিয়েলিটি শোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে। সেখানে কয়েক দিয়ে টাওয়ার তৈরি দেখেই নিয়মিত অভ্যাস শুরু করি। একবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রিজেক্ট হয়েছি। কিন্তু অবশেষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে থেকে স্বীকৃতি মেলায় খুব ভাল লাগছে। মনে হয় এবার রিয়েলিটি শো-তে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। সেখানে এবার অডিশন দেব। দেখি ছোটবেলার সেই স্বপ্নপূরণ হয় কি না।”