সুব্রত বিশ্বাস: দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদহগামী কৃষ্ণনগর লোকাল। শ্যামনগর স্টেশন ছাড়তেই দু’ভাগে আলাদা হয়ে গেল কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ লোকাল। সামনের চারটি বগি নিয়ে দৌড়য় ট্রেন। যদিও অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। কোনও হতাহতের খবর নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে শ্যামনগর থেকে শিয়ালদহের দিয়ে আসছিল কৃষ্ণনগর লোকালটি। ট্রেনটি শ্যামনগর স্টেশন ছাড়ার পরই ঘটে বিপত্তি। চার ও পাঁচ নম্বর কামরার সংযোগস্থল থেকে আলাদা হয়ে যায় ট্রেনটি। সামনের চারটি বগি নিয়ে দৌড়তে থাকে ট্রেন। ধীর গতিতে খানিকটা গিয়ে থমকে যায় পিছনের আটটি বগি। যাত্রীরা বিষয়টি বুঝতে পারা মাত্রই প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ভয়ে হুড়োহুড়ি করে মাঝপথে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। কেউ আবার কী করবেন বুঝতে না পেরে বসে থাকেন ট্রেনে।
[আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে খুন! চাঞ্চল্যকর দাবি বারুইপুরে নিহত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর ছেলের]
এদিকে রেল আধিকারিকরা বিষয়টি জানামাত্রই শুরু হয় মেরামতির কাজ। কামরাগুলি জুড়তে বেশ খানিকটা সময় লাগে। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ আপ লাইনে ব্যহত হয় ট্রেন পরিষেবা। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। তবে এদিকে ডাউন লাইনে ট্রেন চালানো হয়। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ডিআরএম সিং জানান, “তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট দিলেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ কী। কেন ঘটল এই দুর্ঘটনা।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে রক্ষনাবেক্ষণের পদ্ধতি নিয়েও। এ বিষয়ে রক্ষনাবেক্ষনের ত্রুটিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁদের একাংশের মতে, নতুন কাপলিং আনার পর তাতে বিশেষ পদ্ধতিতে টান দিয়ে ক্ষমতা পরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা হয় না, যার ফলে ঘটে এধরণের বিপত্তি।