নব্যেন্দু হাজরা: কলকাতায় ট্রাম চলা নিয়ে বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না। যানজটের আশঙ্কার পুজোর দিনগুলো শহরে ট্রাম চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল সেকথা। সেইমতো ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর রাস্তায় বেরয়নি ট্রাম। কিন্তু ১৬ তারিখ থেকে ফের ট্রাম চালু হওয়ার কথা ছিল শহরে। শ্যামবাজার-ধর্মতলা, গড়িয়াহাট-ধর্মতলার পাশাপাশি পুরসভার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটটিও ফের চালু হত এদিন থেকেই। কিন্তু পুজোর পর লক্ষ্মীপুজো পার। অথচ কোনও রুটেই ট্রামের চাকা গড়াতে দেখা গেল না।
পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর, পুজো কার্নিভাল শেষের পর ট্রাম রাস্তায় বেরবে ধরেই নিয়েই কর্মীদের রস্টার ঠিক করা থেকে শুরু করে ট্রাম ঝাড়পোছ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম চালু হওয়ার নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে গেলেও শনিবার পর্যন্ত ট্রাম আর চালু হল না। কর্মীরা জানান, ওপরমহল থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় ট্রাম বের করতে পারেননি কর্মীরা। তাঁরা ট্রাম বের করার জন্য প্রস্তুতই ছিলেন। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন!
আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন, এখনও কোনও রায় হয়নি, সেখানে পুজোর সময় বন্ধ হওয়ার পর ট্রাম আর চালু হল না কেন! অনেকেই ট্রাম ধরবেন বলে বেরিয়ে গত দুদিন তা পাননি। আর তা নিয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা সমাজমাধ্যমে লিখছেন ট্রামপ্রেমীরাও। পুজোর আগে ট্রাম বন্ধের খবরে বিভিন্নমহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এমনকি কলকাতায় মিছিলও বের হয়। তারপর সরকার জানিয়েছিল, আদালতের রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু পুজোর পর ট্রামের চাকা ফের না গড়ানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রামপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, এভাবেই সরকার পুরোপুরি ট্রাম বন্ধ করে দিতে চাইছে। পুজোর সময়টাকেই বন্ধের প্রথম ধাপ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরাও বিশদে কিছু বলতে চাননি।